মহেশপুর সংবাদদাতা :
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী ইনামুল হককে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের মোহম্মদ আলী ম-লের ছেলে ইনামুল হক একই গ্রামের মৃত নবীছদ্দিন ম-লের মেয়ে পুতুল খাতুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চার মাস আগে বিয়ে করে। স্বামী ইনামুল হক যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী পুতুলের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় পুতুলকে মহেশপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে উন্নতি না হওয়ায় যশোর আড়াই শ বেড হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ ঘটনায় পুতুলের বড় বোন সোনালী খাতুন শনিবার মহেশপুর থানায় ১৫জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিতা পুতুলের বোন সোনালী খাতুন জানায়, চার মাস আগে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ইনামুল হক তার বোনকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে যৌতুক দাবি করে। শুক্রবার দুপুরে আমার বোন পুতুল খাতুন স্বামীর বাড়িতে গেলে যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন অমানুষিক নির্যাতন করে। হাসপাতালের বেডে শয্যাশায়ী পুতুল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি মিলে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মিয়া জানান, মামলার প্রধান আসামি ইনামুল হককে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।