Sunday, June 4, 2023
Homeসম্পাদকীয়মানুষরে ফেরা নির্বিঘ্ন হোক

মানুষরে ফেরা নির্বিঘ্ন হোক

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

বাজেটে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ ইতিবাচক

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু নিত্যপণ্য নয়, বেড়েছে বিদ্যুতের দাম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও...

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরগরম সিলেট নগরী

বার্তাকক্ষ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা আর মাইকিংয়ে এখন সরগম সিলেট নগরী। কে হচ্ছেন আগামী দিনের নগরপিতা আওয়ামী...

ম্যানইউকে হারিয়ে ‘ডাবল’ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি

বার্তাকক্ষ ২৪ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের ট্রেবল জয়ের দারুণ এক হাতছানি ম্যানচেস্টার...

৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

বার্তাকক্ষ ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৷...

ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। আগামী কয়েকদিন ট্রেন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ফিরতি মানুষের ভিড় বাড়বে। এই সময়ে বিভিন্ন পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মহাসড়কে দুর্ঘটনা কম। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা এবার অনেকটাই নির্বিঘেœ গ্রামে যেতে পেরেছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এ বছর সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘ ছুটি এবং সড়ক-মহাসড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষè নজরদারির কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া মানুষের যাতায়াত এবার অনেকটাই স্বস্তির হয়েছে। তবে ফেরার পথে চাপ বাড়বে। বাড়ি যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের তৎপরতা ছিল। ফিরতি পথেও তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হবে। বছরে দুটি ঈদ মুসলমানদের জীবনে সবচেয়ে বড় উৎসব। কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে যে যেখানেই থাকুক না কেন, দুটি ঈদে অন্তত তারা নিজ নিজ পরিবার ও স্বজনদের কাছে ফিরে যান। এবার ঈদযাত্রায় টিকেটের ভোগান্তি ছিল না। বিশেষ করে রেলে টিকেট পেতে ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। অনলাইনে টিকেট সংগ্রহের ব্যবস্থা কাজে এসেছে। অন্যদিকে বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের ঘটনাও এবার কম দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানুষ স্বস্তিতে ঘরে ফিরেছে। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কিছুটা জ্যাম থাকলেও নদীপথে যাত্রা ছিল স্বাচ্ছন্দ্যের। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে নদীপথ ও সড়কপথেও চাপ কম ছিল। সার্বিকভাবে বলা যায়, এবার ঈদে ঘরে ফেরার ধকল কম হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়তি মানুষের চাপ অনেকটাই পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন বেশ শক্তিশালী। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনের রেওয়াজ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ রেওয়াজ মানুষের সংবেদনশীলতার অংশ হয়েও দাঁড়িয়েছে। ফলে যারা কর্মস্থল ছেড়ে স্বজনদের মাঝে গিয়েছিলেন, তারা যাতে নির্বিঘেœ কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, এ ব্যাপারে সরকার তথা প্রশাসনকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা মনে করি, দেশের বিস্তৃত সড়কপথকে নিরাপদ করতে হলে সার্বিক সতর্কতা ও নজরদারি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যাত্রীদের সচেতনতা ও আইন মেনে চলাও জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোও যেহেতু চিহ্নিত, সেহেতু সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নজরদারি ও তৎপরতা অব্যাহত রাখা।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

বাজেটে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ ইতিবাচক

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু নিত্যপণ্য নয়, বেড়েছে বিদ্যুতের দাম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও...

প্রসঙ্গ : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট

‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’- এ সেøাগানকে সামনে রেখে গতকাল বিকালে জাতীয়...

ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হতে হবে

ডেঙ্গুর দাপটে রাজধানীবাসী আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৬ গুণ...