Sunday, May 28, 2023
Homeবিশেষ প্রতিবেদনমামলার পরও সোনা পাচারের হোতা ইমরাণ-আরিফরা কি অধরাই থাকবে?

মামলার পরও সোনা পাচারের হোতা ইমরাণ-আরিফরা কি অধরাই থাকবে?

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরুক

অর্থনীতি ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার খবর পুরনো। চরম অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা...

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতিতে মুগ্ধ ওয়েইডং

বার্তাকক্ষ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং বলেছেন, তিনি ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর...

এবার নতুন ‘ফাঁদ’ দুদকের

বার্তাকক্ষ ফাঁদ হচ্ছে হাতেনাতে দুর্নীতিবাজ ধরার একটি পদ্ধতি। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিভিন্ন...

বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে পার্থক্য নেই: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমরা তো হাসিনার আমলে আছি।...

সুন্দর সাহা
অবশেষে আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারী মাফিয়া ডন বস্ গৌতম এবং কুখ্যাত অপু সাহার পাশাপাশি সোনা পাচার মামলার আসামি তালিকায় রয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক পাচারকারীদের সোনার যোগানদাতা সোনার ডিলার কুখ্যাত ইমরাণ এবং আরিফের নাম। ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছে যশোরের ডিবি পুলিশের মামলায় আসামির তালিকায় মামা-ভাগ্নে সোনা পাচার সিন্ডিকেটের প্রধান ইমরাণ এবং আরিফ । তবে, ঢাকার আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারী মাফিয়া ডন আহলাদ, খবির, খোকন এবং রামের নাম নেই মামলায়।
সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা থেকে আরেক আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালানী আওলাদ প্রতিদিন বিপুল পরিমানে সোনা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভারতে পাচার করে। এদের সবার সোনার গন্তব্য বস গৌতম, অপুসাহা, আজগার, নাসির, ও রবিউলের ডেরা। শীর্ষ সোনা চোরাচালানী আওলাদ ছাড়াও প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার করে কুখ্যাত ইমরাণ, আরিফ, খবির, রাম ও খোকাসহ কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এদের মাধ্যমে প্রতিদিন মন মন সোনা পাচার হয় বস্ গৌতমের ডেরায়। তবে এই এলাকা দিয়ে সবচেয়ে বেশি সোনা পাচার করে আওলাদ, কুখ্যাত ইমরাণ, আরিফ, খবির, রাম ও খোকা। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ সোনা ভারতে পাচার হয়, তার মধ্যে কিয়দংশ আটক হয়। কার্যত সবাই নগদ নারায়ণে তুষ্ঠ হয়ে আঙুল চোষে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে, গত বুধবার (২৯ মার্চ) বিকালে গত যশোর ডিবি ও ঝিকরগাছা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪টি সোনার বারসহ দুই সোনা পাচারকারিকে আটক করে। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা থানার কীর্তিপুর মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে আলামিন হোসেন (২৭), নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার জয়পুর গ্রামের আওয়াল মোল্লার ছেলে মহিবুল (৩৩)। আটকের পর মহিবুল ইসলাম ও আসামী আলামিন হোসেনকে জিজ্ঞসাবাদে বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল। তারাই পুলিশকে জানায়, ভারতের পুরাতন বনগাঁও এলাকার রামপদ মন্ডলের পুত্র গৌতম মন্ডল এবং বনগাঁও এলাকার অপু সাহা @ অপূর্ব সাহার সাথে নির্দেশনা মোতাবেক বায়তুল মোকারামের ইতিহাস জুয়েলার্স, ঢাকার মোঃ ইমরান হোসাইন এবং মোঃ আরিফের কাছ থেকে উল্লেখিত সোনার চালান নিয়ে ভারতের গৌতম মণ্ডল ও অপু সাহা @ অপূর্ব সাহার কাছে পাচারের জন্য নিয়ে আসার সময় ধরা পড়েছে। তারা আরও জানায় যে, সোনার চালান নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামস্থ তবিবর রহমানের ছেলে মিন্নু মিয়ার মাধ্যমে ভারতে পাচার করে। ডিবি এসআই আরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। সোনা পাচারকারী এই চক্রের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ই এর ১ (অ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় জব্দকৃত আলামত ও আটককৃতদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতরা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। এদিকে, সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, ঘিবা গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে মিন্নু মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাচারের ব্যবসা করে। সামান্য দোকান কর্মচারি থেকে সে এখন কোটিপতি বনে গেছে। ডিবি পুলিশের মামলার আসামির তালিকায় মিন্নু মিয়ার নামও রয়েছে। এক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোনা পাচারের অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। সোনা পাচারের বড়-বড় কুশি-লবের নাম বেরিয়ে পড়বে বলে সূত্র জানায়। তবে, মামা-ভাগ্নে সোনা পাচার সিন্ডিকেটের প্রধান ইমরাণ, আরিফ এবং আওলাদের সোনা শুধু মির্নু মিয়ার কাছেই যায় না। কামাল, জামাল, বাবু মেম্বার, রেজা, জিয়া, বাদশাসহ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ সোনা অবৈধ সীমান্ত ঘাট গলিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ থেকে ইছামতি নদী পার করে ভারতে যত সোনা পাচার হয় তার সবটায় মজুদ হয় আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালানী বস্ গৌতম ও কুখ্যাত অপু সাহার ডেরায়। ভারতের ওপারে এবং বাংলাদেশের এপারে বিএসএফ ও বিজিবির অভিযানে কখনও কখনও সোনার চালান আটক হলেও সেটি উল্লেখযোগ্য নয়। যা আটক হয় সেটি পাচার করা সোনার সামান্য পরিমাণ মাত্র। আবার টাকার পাহাড় গড়তে নিজেরাও অনেক চালান ধরিয়ে দেয় বলে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। যশোরের শার্শা, বেনাপোল, ঝিকরগাছা-চৌগাছা সীমান্তের অন্তত ৮০টি অবৈধ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হচ্ছে। এই ঘাটগুলো চালু করেছে আন্তর্জাতিক সোনা সিন্ডিকেটের হোতা ভারতের ওপার এবং এপারে রয়েছে শতাধিক সিন্ডিকেট। আন্তর্জাতিক সোনার ডিলার হচ্ছে ঢাকার আওলাদ, ইমরাণ, আরিফ, খবির, খোকা এবং রামের নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকশ ক্যারিয়ার সোনা নিয়ে ছুটছে সীমান্তের দিকে। এক গাড়ি থেকে ৫০ গাড়ি সোনা বহনের রেকর্ড রয়েছে ক্যারিয়ারদের বিরুদ্ধে। মাঝে-মধ্যে এই চক্রের ক্যারিংম্যান সোনার চালানসহ ধরাও পড়ে। কিন্তু সিন্ডিকেটের মূল মালিকরা থেকে যায় পর্দার আড়ালে। সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরে যশোররের বিভিন্ন সীমান্তের অবৈধ পকেট ঘাটের পাশাপাশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়েও পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সোনার বার। কখনও পাসপোর্টযাত্রী, কখনও পণ্যের গাড়ি আবার কখনও কখনও পণ্য খালাস করে ফেরত যাওয়া ভারতীয় ট্রাকে করেও বিপুল সোনা পাচার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওপারে ভারতের পেট্রাপোলে অনেকবার সোনার চালান আটক হয়েছে। তবে সে হিসেবে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা অদৃশ্য কারণে খুবই নগণ্য। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সোনা পাচার হচ্ছে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাচার হওয়া সোনা যায় সোহেল, হায়দার, বাবু এবং কামালের মাধ্যমে চলে যায় ভারতে। যে সোনার যোগানদাতাও ইমরাণ-আরিফ-আওলাদ গং। প্রসঙ্গত, গোপন খবরের ভিত্তিতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের উপর ঝিকরগাছা থানার কীর্তিপুর মোড় এলাকায় ডিবি যশোরের এসআই আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম ও ঝিকরগাছা থানা পুলিশের টহল টিম অবস্থান নিয়ে সোনার এই চালান আটক করে।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতিতে মুগ্ধ ওয়েইডং

বার্তাকক্ষ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং বলেছেন, তিনি ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর...

এবার নতুন ‘ফাঁদ’ দুদকের

বার্তাকক্ষ ফাঁদ হচ্ছে হাতেনাতে দুর্নীতিবাজ ধরার একটি পদ্ধতি। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিভিন্ন...

বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে পার্থক্য নেই: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমরা তো হাসিনার আমলে আছি।...