Saturday, September 23, 2023
Homeসম্পাদকীয়মার্কেটগুলোতে বারবার আগুন কেন?

মার্কেটগুলোতে বারবার আগুন কেন?

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী

বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদিনের ডেস্ক ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু...

ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ: যা বিষেও মরছে না, দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা। তবে এবার...

চৌগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দ্বিতল ভবন, দূর্ঘটনার আশংকা

চৌগাছা সংবাদদাতা যশোরের চৌগাছা বাজারে জরাজীর্ণ একটি দ্বিতল ভবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ...

বারবার কেন টার্গেট হচ্ছে সরকারি মালিকানার বাণিজ্যিক মার্কেটগুলো? সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন মার্কেটগুলোতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে নানা প্রশ্ন সামনে আসছে। অতিসম্প্রতি বঙ্গবাজার, নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর গত বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। ব্যবসায়ীরা এমন ঘটনাকে ‘রহস্যের আগুন’ বলছেন। উঠেছে পরিকল্পিত আগুনের অভিযোগ। আগুনে মার্কেটের থাকা অন্তত ১৮টি জুয়েলারির দোকান পুড়ে গেছে। স্বর্ণের দোকান ছাড়াও মার্কেটটিতে কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল। আগুনে এসব দোকানও পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০-২৫০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের যে মার্কেটগুলো ভেঙে পাকা বহুতল ভবন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেই মার্কেটগুলোতেই আগুন ধরছে। এমনকি আগুনের সূত্রপাতও হচ্ছে শেষ রাতের দিকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বেশকিছু কাঁচা মার্কেট ভেঙে বহুতল পাকা মার্কেট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীকে একাধিকবার উচ্ছেদের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে তারা। মার্কেট ছেড়ে দিতে ব্যবসায়ীদের নোটিস করা হলেই তারা উচ্চ আদালতে গিয়ে আটকে দেন। ফলে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও নতুন মার্কেট ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এমন আইনি জটিলতায় থাকা মার্কেটগুলোই একের পর এক আগুনে পুড়ছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতার অভাবেই তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না। তাদের মতে, সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসসহ জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশ্বের অগ্নিদুর্ঘটনাগুলোতে নজর দিলে দেখা যায়, নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যেখানে ভালো সেখানে ক্ষতির পরিমাণ কম। আমাদের দেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তুলনামূলক ক্ষতি বেশি হয়। মানুষের জীবনও যায় বেশি। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে নাগরিকেরও ভূমিকা রয়েছে। কেবল সচেতন হলেই অনেক অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ করা সম্ভব। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে প্রতিদিন ঝুঁকি বাড়লেও সেভাবে উন্নয়ন ও বিকাশ হচ্ছে না অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের কর্ম ও ক্ষমতার পরিধির। এ কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে প্রায় সবখানেই। কৃষি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান জরুরি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী

বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...

দুর্গাপূজা: রুখতে হবে এ অস্থিতিশীলতা

শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে। ধর্মীয়...

ডিম আমদানিতে কি সুফল মিলবে?

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়। এসব পণ্য হলো ডিম, আলু ও দেশি...