মেডিকেল ভর্তি: পাসের হার কমেছে ১৯.৭৯ শতাংশ

0
11

বার্তাকক্ষ ,,সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৪ জন পরীক্ষার্থী। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগের বছর (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে) পাস করে ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। ফলে আগের বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরোনো ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন এক লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা শহরে পাঁচ কেন্দ্রের ১৮ ভেন্যুতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৪৩৬ জন। পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
জাহিদ মালেক জানান, গত শুক্রবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজের ৫৭ ভেন্যুতে এ পরীক্ষা হয়
তিনি আরও জানান, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর হতে ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য চার হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অবশিষ্ট আসনে ৮০ শতাংশ জাতীয় মেধায় ২০ শতাংম জেলা কোটায় প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, সাংবাদিক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি করা হয়। অভিজ্ঞ মেডিকেল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া নম্বর সমতাকরণে আলাদাভাবে কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা দফায় দফায় নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার সব কাজ সম্পন্ন করেছেন।
মেডিকেলের পাশের হার কম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরাও দেখেছি এবার পাশের হার কম। তার অনেকগুলো কারণ হতে পারে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো, গতবার ছিল একটা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এবার পূর্ণ সিলেবাসে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি। করোনার জন্য গত বছর সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল, সেজন্য হয়তো পাশের হার একটু বেশি ছিল। আর এবার পাশের হার কম।