প্রতিদিনের ডেস্ক
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমবে না। আগামী মাসে ‘মুরিকাটা’ পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমতে শুরু করবে। আমদানি করা পেঁয়াজের স্টক শেষ হয়ে গেছে। দাম বেশি পড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে এখনই পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি করা আলু বাজারে মাত্র আসা শুরু করেছে। আরও আসতে থাকলে আলুর দাম কমে যাবে। একইসঙ্গে নতুন আলু বাজারে আসতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। তখন দামে প্রভাব পড়বে।’ বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি না কমলে জিনিসপত্রের দাম কমানো অসম্ভব হয়ে যায়। মূল্যস্ফীতি না কমা পর্যন্ত সব জিনিসের দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়, এটাও বুঝতে হবে।’
মন্ত্রী জানান, বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দামের ব্যাপারে মিডিয়া যদি পজিটিভ খবর প্রচার করে তাহলে ভোটারদের ওপর এর প্রভাব পড়বে না। পণ্যের দাম শুধু দেশেই বাড়েনি, সারা বিশ্বের চিত্র একই। তবে এসব কাটিয়ে উঠে আগামীতে এর সুফলও পাবে মানুষ।’ তিনি বলেন, ‘চিনির দাম কমানো যাবে না। কারণ, বিশ্ব বাজারে দাম কমেনি।’ বাংলাদেশে ভোটের চিত্র একেক এলাকায় একেকরকম, তাই পণ্যের দামের কারণে ভোট কমে যাবে না, এটা মনে করেন না বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যায় চাঁদাবাজি এবং পরিবহন খরচের কারণে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও এর ওপর পড়ছে। তবে দেশে উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমতে শুরু করবে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় পণ্য আমদানি করতে দেরি হয়, এর কারণে বাজারে দামও বেড়ে যায়। এর দোষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলেও সময় মতো আমদানি করতে পারে না।’ জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না, কিন্তু ভোট চাইতে তো এলাকায় যেতে হবে কদিন পর, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তার নির্বাচনি এলাকা রংপুরে প্রচুর আলু, পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাই সেখানে এসব জিনিসের দাম বাড়েনি। রংপুরের নারীরা তিন বেলা ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে কাজ করে। সেখানে অভাবের কোনও চিহ্ন নেই। তাই ভোট নিয়ে চিন্তা করছি না।’
