শ্যামনগর প্রতিনিধি :
মাত্র ৭ শতক বাদে ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরের ১ হাজার ৬০২ বিঘা জমি আতœসাৎ হয়েছে। ৭ শতক জমির ওপর নির্মিত মূল মন্দির বাদে বাকি জমি হাতাছাড়া হয়ে গেছে।
মন্দিরটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান। প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মার্চ মাসে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে এসে ওই বছরের ২৭ মার্চ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি সেদিন সকালে মন্দির পরিদর্শনকালে কৃষ্ণবর্ণ কষ্ঠিপাথরে নির্মিত কালী মূর্তির পূজা অর্চনা করেন। কোনও বিদেশি সরকার প্রধানের সাতক্ষীরায় এটি ছিলো প্রথম আগমন। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের জীর্ণশীর্ণ মন্দিরটি সংস্কার করা হয়। মোদিকে স্বাগত জানাতে বাঁশের তৈরি নানা রকম কারুকার্যে নান্দনিক রূপে সাজানো হয় যশোরেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণ। মন্দিরটির ব্রিটিশ শাসনামলের পাঁচ সেবায়েতের মধ্যে একজন সেবায়েত জ্ঞান চট্টোপাধ্যায় অধিকারীর চতুর্থ ওয়ারিশান পুরুষ বিশিষ্ট অভিনেতা ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্রোপধ্যায় অধিকারী এবং তাঁর ছোট ভাই জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় অধিকারী সার্বজনীন এই মন্দিরটি তাদের পারিবারিক মন্দির হিসেবে দাবি করায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের এই শক্তিপীঠস্থলে বহুতল ভবন বিশিষ্ট কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা স্থিমিত হয়ে রয়েছে। শ্যামনগরের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অভিযোগ করেছেন, মন্দিরটির পাঁচ পুরুষ পূর্বেও পাঁচ সেবায়েত এর মধ্যে চার সেবায়েত বহু পূর্বেই দেশ ত্যাগ করেছেন। এই চার সেবায়েতের কোন ওয়ারিশান এ দেশে নেই। সেই সুযোগে পঞ্চম সেবায়েত জ্ঞান চট্টোপাধ্যায় অধিকারী ও তার পরবর্তী ওয়ারিশানরা মন্দিরের ১ হাজার ৬০২বিঘা জমি পুরুষানুক্রমে ভোগদখলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তারা এই জমি যুগে যুগে পুরুষানুক্রমে বিক্রি করেছেন। এমনকি মন্দির বাউন্ডারির মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান ৪৪ শতক জমির মধ্যে মাত্র ৭ শতক জমি মন্দিরের নামে রেকর্ড রয়েছে। ফলে জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।