Friday, December 8, 2023
Homeশহর-গ্রামযশোররাজগঞ্জে বাহারী রঙয়ের মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র সাজানো হয়েছে বিক্রি জন্য

রাজগঞ্জে বাহারী রঙয়ের মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র সাজানো হয়েছে বিক্রি জন্য

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

দেশে তৈরি প্রথম ল্যাপটপ উন্মোচন ইনফিনিক্সের

প্রতিদিনের ডেস্কপ্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে ইনফিনিক্স। ব্র্যান্ডটির নতুন ল্যাপটপ ইনবুক ওয়াই...

চলতি মাসেই গ্যালাক্সি বুক ৪ আনবে স্যামসাং

প্রতিদিনের ডেস্ক দুই সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়র লেক প্রসেসর উন্মোচন করতে পারে ইন্টেল। এর সঙ্গে গ্যালাক্সি...

ফেসবুক-মেসেঞ্জারে এনক্রিপশন সুবিধা চালু করছে মেটা

প্রতিদিনের ডেস্ক ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের সব ব্যক্তিগত কথোপকথন ও কলের জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার আনছে...

বিয়োগান্তক প্রেমের স্মারক ‘বাকরখানি’

ফারিহা আজমিন হাল জামানার ধরন অনুসারে দ্রুতই বদলাচ্ছে মানুষের রুচি। পুরোনো দিনের অনেক কিছুই হারাতে...

উত্তম চক্রবর্তী,রাজগঞ্জ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ হাইস্কুল রোডের দুর্গাপূজার বাজারে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে পোড়া মাটির তৈরি অনেক রকমের খেলনা ও তৈজসপত্র। বিভিন্ন রঙে, রঙ করা এই খেলনা ও তৈজসপত্রগুলো। এখানে রাজগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির রয়েছে। পাল সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের ঐতিহ্য রক্ষার্থে মাটির তৈরি এসব খেলনা ও তৈজসপত্র বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। এরা শুধু পূজার সময় নয়, সব সময় রাজগঞ্জ বাজারের এই জায়গায় এসব জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। রাজগঞ্জ মোবারকপুর পাল পাড়ার চিত্ত পাল, মিঠুন পাল ও অমল পাল এবার দুর্গাপূজার বাজারে প্রায় ৫০ প্রকারের মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র বিক্রি করছে। রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ও চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক উত্তম কুমার পাল বলেন- পৃথিবীর প্রতিটি দেশে রয়েছে যার-যার নিজস্ব সংস্কৃতি। কেননা মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টির আদলেই বেড়ে ওঠে এবং সংস্কৃতিকে লালন করে। আর এসবের মূলেই রয়েছে গ্রামীণ সংস্কৃতি। যার গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে মৃৎশিল্প। বিশেষ করে বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নবববর্ষের বৈশাখী মেলাসহ যে কোনো উৎসব, পূজাপার্বণে যুগ-যুগ ধরে মাটির তৈরি পণ্য ব্যবহার করে আসছে বাঙালি। তারই ধারাবাহিতকায় প্রতিটি পূজায় মাটির তৈরির কদর থাকে অন্যরকম। মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র বিক্রেতা মিঠুন পাল বলেন- শুধু দুর্গাপূজা না, এখানে সারাবছরই কমবেশি মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্র বিক্রি হয়ে থাকে। তবে, দুর্গোৎসবের সময় আমাদের ব্যস্ততা বেশিই থাকে। তিনি জানান- এঁটেল মাটির তৈরি পুতুল ও তৈজসপত্রগুলো অন্য জায়গা থেকে পাইকারিভাবে কিনে আনতে হয়। রঙ করাও থাকে। আবার রঙ বাদেও থাকে। এ অবস্থায় কিনে আনতে হয়। তারপর রঙ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করে বিক্রি হয়। আরেকজন বিক্রেতা অমল পাল বলেন- দুর্গাপূজা আসলেই আমাদের বেচাবিক্রি বেশি হয়। এ কারনে এসময় আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। রাজগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি সুকেশ চন্দ্র বলেন- সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই দুর্গোৎসবের সময় মন্দির ও মন্ডপের সামনে অনেক রকমের দোকান, যেমন- কসমেটিক, মিষ্টি, প্লাষ্টিকের খেলনা, কাঠের খেলনা ও বিভিন্ন মজাদার খাবারের দোকান বসানো হয়। এর মধ্যে সব থেকে নজর কাড়ে মাটির তৈরি বাহারি রঙয়ের খেলনা ও তৈজসপত্রের। ক্রেতারা খুব আগ্রহসহকারে এই খেলনাগুলো কিনে থাকেন। তিনি জানান- রাজগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরে পূজা চলাকালিন দর্শনার্থী ও ভোক্তাদের মাঝে মেলার আমেজ বহন করে।

 

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

বাগেরহাটের রাধালীর খাল পুনঃখনন শুরু : উপকৃত হবেন ১০ হাজার কৃষক

কামরুজ্জামান মুকুল, বাগেরহাট বাগেরহাটের রামপালের রাধালীর খাল পুনঃখনন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার...

সাতক্ষীরা-যশোর সড়কে পিকআপ ও পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৫

আব্দুল আলিম, সাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় পিকআপ ও ঢাকাগামী একটি পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত...

শ্যামনগরে ৬০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে চারটি বস্তায় ভর্তি ৬০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে...