খবরে প্রকাশ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার ফলশ্রæতিতে আগামী জুন থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। আগামী জুন থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব দরবারে বহুবার মিয়ানমারকে চাপে রাখার জন্য বাংলাদেশ নানা ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করেছে ও করে চলেছে। নানা কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি তুলেছেন বহুবার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সম্প্রতি জাপান, আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য সফরে পরিষ্কার জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। সুতরাং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন জরুরি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি আন্তঃসীমান্ত এবং আঞ্চলিক সমস্যা। সুতরাং এ মানবিক সংকটের সমাধান করা বিশ্বের দায়িত্ব। বিশ্ব নেতাদের ভূমিকা না থাকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি অনেকটা থেমে গেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তা আমাদের জন্য অবশ্যই উদ্বেগের। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে। খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচার, শিশু পাচার, ডাকাতি, অপহরণ, পতিতাবৃত্তিসহ সব ভয়ংকর অপরাধের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রোহিঙ্গারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত চারটি কারণেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। মিয়ানমার নিজেরাই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায় না, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিওগুলো চায় না, ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী চায় না এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়টি মিয়ানমার যেভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে তাতে গোপনে সমর্থন জানাচ্ছে চীন-রাশিয়ার মতো বৃহৎ শক্তি। এমনকি বিশ্বব্যাংকের মতো বৈশ্বিক সংস্থাও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আত্তীকরণের উদ্ভট প্রস্তাব দিয়েছে। এই হাওয়ায় তাল দিচ্ছে জাতিসংঘও। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত। তাদের প্রতি সমবেদনা এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি সংহতি এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের তাগিদ জানিয়ে আসছে বিশ্ব সম্প্রদায়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। দুই দফা সময় দিয়েও তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়নি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত, চীন, রাশিয়ারও উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ নিয়মিত কূটনীতির অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করলেও সবাই চুপচাপ শুনছে, কোনো প্রতিক্রিয়া বা পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মানবিক কারণেই প্রতিবেশী মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের বাড়তি দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই বড় বোঝা। এ অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, স্থিতি এবং নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান অপরিহার্য।

সাম্প্রতিক সংবাদ
চিত্র বিচিত্র
একসঙ্গে ৯ সন্তান জন্ম দেওয়া হালিমা
প্রতিদিনের ডেস্ক
একই সঙ্গে ৯টি সন্তানের জন্ম দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন এক মা। মঙ্গলবার গিনেস...
খেলা
তিন ফরম্যাটেই এখন শীর্ষে ভারত
প্রতিদিনের ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে গেছে ভারত। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতের...
খেলা
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ নাসির
প্রতিদিনের ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আগের আসরে অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ছিলেন অধিনায়ক। এবার...
জাতীয়
ইথিওপিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর প্রস্তাব
প্রতিদিনের ডেস্ক
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ড. মোমেনের...
এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন
সম্পাদকীয়
উদ্যোগ নেয়া হোক কার্যকরী
বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের আশা রাখছে। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন বহন করার মতো...
সম্পাদকীয়
দুর্গাপূজা: রুখতে হবে এ অস্থিতিশীলতা
শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে। ধর্মীয়...
সম্পাদকীয়
ডিম আমদানিতে কি সুফল মিলবে?
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়। এসব পণ্য হলো ডিম, আলু ও দেশি...