Friday, June 9, 2023
Homeবিশেষ প্রতিবেদনরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আলোচনা করতে টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আলোচনা করতে টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ দুঃখজনক

আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা দিন দিন তৎপর হয়ে উঠছেন। গতকাল ভোরের কাগজের...

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত

বার্তাকক্ষ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর...

ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে জোট মিত্ররা: ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব

বার্তাকক্ষ আসন্ন সম্মেলনে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে না পারলে ন্যাটো জোটের কয়েকটি মিত্র দেশ কিয়েভকে...

জাপোরিজ্জিয়াতে রুশ অবস্থানে ‘সর্বাত্মক আক্রমণ’ শুরু করেছে ইউক্রেন?

বার্তাকক্ষ রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া...

বার্তাকক্ষ
সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৯টার পর টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়ারস্থল টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কার্গো ট্রলারে মিয়ানমারের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে আসে। এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু-দ্দৌজাসহ সরকারি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিল দেশটির মিনিস্ট্রি অব সোস্যাল অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ।
সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রত্যাবাসন সামনে রেখে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিয়ানমারের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছে। এ ছাড়া ঢাকায় মিয়ানমার অ্যাম্বাসেডরের দুই জন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। তারা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন।’
এ বিষয়ে ১৬-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তারা টেকনাফের শালবাগান ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
রোহিঙ্গা নেতা খিন মং বলেন, ‘ক্যাম্পে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আসছে , অনেক রোহিঙ্গা দাবি তুলছে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য। আমরা চাই নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন।’
এদিকে গত ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে পরিস্থিতি দেখতে। এর আগে ১৫ মার্চ মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় প্রতিনিধি দলটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি ক্যাম্পে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। তাদের রাখাইনে ফেরত নিতে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। চুক্তি স্বাক্ষর করলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি। এই কমিটি দুটি সভা করলেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমার ফেরত যাননি।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

অস্বস্তিকর গরমের দুই কারণ চিহ্নিত

গরমে যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাপমাত্রার পারদ যতটুকু দেখায়, তার চেয়ে ঢেরে বেশি...

উল্টো লিখে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন যমুনা

বার্তাকক্ষ শিক্ষাজীবনে অনেকেরই অনেক প্রতিভা দেখা যায়। কিন্তু যমুনার মতো প্রতিভা এখন পর্যন্ত হয়তো কেউ...

ঢাকা কি বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠবে!

গেলো ১০০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে...