বার্তাকক্ষ
গোছানো গল্পে পর্দায় নাটক-সিনেমা দেখে দর্শকরা আনন্দিত-বিরক্ত যাই হন না কেন, নেপথ্যের কলাকুশলীদের কষ্ট আর পরিশ্রমের কথা তাদের বোঝার উপায় থাকে না। পর্দায় কালীদাসের শকুন্তলা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, দর্শকদের সেই গল্প শোনালেন এ চরিত্রের নায়িকা সামান্থা রুথ প্রভু। এর আগেও দক্ষিণী সিনেমার এই নায়িকা ৩০ কেজি ওজনের লেহেঙ্গা পরে শুটিং করার ‘দুর্গতি’র কথা জানিয়েছিলেন।
সিনেমা মুক্তির দুদিন আগে সামান্থা জানালেন, ‘শুকন্তলা’ হতে আর কী কী তাকে সহ্য করতে হয়েছে। সামান্থা তার ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিওতে শুটিং সেটের সেই অজানা গল্পগুলো শেয়ার করেছেন বলে পিংকভিলা জানিয়েছে। চরিত্রের জন্য সামান্থাকে ফুলের গয়না পরতে হত জানিয়ে সামান্থা বলেছেন, ফুলে তার অ্যালার্জি। আর সেই ফুলের তৈরি গয়না বাহু, গলায় পড়তে হয়েছে দিনের পর দিন। “কোন অনুযোগ করিনি এজন্য। শুটিং শেষে সন্ধ্যার পর আমার পুরো হাতে ফুলের দাগ দেখা যেত। টানা ৬ মাস এই দাগ ছিল। মনে হত যেন হাতে ফুলের ট্যাটু করিয়েছি।
আমি ওটার উপরেই মেকআপ লাগিয়ে শুট করেছি। কেউ এটাকে সারাতে পারেনি। তারপর অবশ্য ধীরে ধীরে চলে যায় দাগটা।’ প্রথমবার ‘শকুন্তলা’র মধ্য দিয়ে একাধিক ভাষায় ডাবিং করতে হয়েছে সামান্থাকে। সামান্থা বলেন, “সিনেমাটি তিনটি ভাষায় ডাবিং করেছি। আমি সত্যিই জানি না অন্য অভিনেতারা কীভাবে এটি করেন। হায় ঈশ্বর! বড্ড কঠিন কাজ। ঘুমের মধ্যেও আমি সংলাপ বলে চলতাম।” শুটিং ছিল খরগোশের সাথেও।
খরগোশের কামড়ও খেতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সে ঘটনা বলতে গিয়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তার ভাষায় “খরগোশ ততোটা মিষ্টি নয়, যতটা দেখায়।” লেহেঙ্গা বিড়ম্বনা নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, গানের নাচে ঘূর্ণি তৈরি করার সময় তাকে বারবার ফ্রেমের বাইরে নিয়ে চলে যেত লেহেঙ্গা। অভিনেত্রীকে সেসময় ডান্স মাস্টার রাজু জিজ্ঞেস করতেন, ফ্রেমে থাকছ না কেন তুমি? “আমি ঠিকই ছিলাম, চেষ্টাও করছি। কিন্তু লেহেঙ্গা আমাকে ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই ১০ থেকে ১৫ বার চেষ্টা করে দৃশ্যগুলো ধারণ করতে হয়েছিল আমাদের।”
শুটিংয়ের পুরোটা সময় পরচুলা পরেই কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। তার ভাষ্য, “এটি আমার আসল চুল নয়। শকুন্তলার চরিত্রের জন্য পরচুলা পরতে হয়েছিল আমাকে।” কালিদাসের অভিজ্ঞান ‘শকুন্তলম’ নাটকের কাহিনীর চলচ্চিত্রায়নে দুষ্মন্ত হয়েছেন দেব মোহন। গুণশেখর পরিচালিত ‘শকুন্তলম’ সিনেমায় অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কবীর বেদী, প্রকাশ রাজ, অদিতি বালন, গৌতমীসহ আরও অনেকে। এ সিনেমাতেই প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় দেখা যাবে দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুনের মেয়ে আল্লু আরহাকে, সে শকুন্তলার শৈশবের রূপায়ন ঘটিয়েছে সিনেমায়। আজ ১৪ এপ্রিল ভারতজুড়ে হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি।