শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির এবং বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সমাবেশের পর থেকেই দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে হরতাল ঘোষনার পর থেকে যে উৎকণ্ঠা বাড়তে শুরু করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে ছোট-বড় রাজনৈতিক দলগুলো সভা করবে, কর্মসূচি দেবে- এটাই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক চর্চা। জমে উঠবে কথামালার রাজনীতি। কিন্তু এ সময়ে উল্টোচিত্র দেখতে হয় আমাদের। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসে, রাজনৈতিক উত্তেজনা ততই বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ খোঁজা জরুরি। আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগমুহূর্তে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হয়, তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও আছে। নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে কিংবা কার অধীনে হবে- এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশা করে সাধারণ মানুষ। নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলন এমনকি সংঘাতেও রূপ নেয়। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি রাজধানীতে মহাসমাবেশ করেছে। অন্যদিকে বিএনপিকে প্রতিহত করে ঢাকার রাজপথে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া ক্ষমতাসীনরা। তারাও সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করছে। বিএনপিকে কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে বিএনপি। সমমনা দলগুলোকে নিয়ে গত ১০ মাসে ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি যুগপৎভাবে শতাধিক কর্মসূচি পালন করে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিপরীতমুখী অবস্থানে। সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে- এমন সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও নড়বে না ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। সরকারের পদত্যাগে এক দফা ঘোষণা করেছে দলটি। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কার্যত বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে ওই নির্বাচনের ব্যর্থতার দায়ভার নির্বাচন কমিশন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ওপরই বর্তায়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে কিনা, সেটিই দেখার বিষয়। আমরা চাই না, আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হোক। আমরা মনে করি, সংঘাত পরিহার ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন, ক্ষমতাসীন দলকেই সহিষ্ণুতা ও সদিচ্ছায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

সাম্প্রতিক সংবাদ
বিশেষ প্রতিবেদন
গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস
জিনিয়া রাজিন
আজ ডিসেম্বরের ৩ তারিখ। একাত্তরের এই দিনে একদিকে যেমন বাংলার বুকে এগিয়ে চলছিল...
সম্পাদকীয়
ভোটের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে এলেই ভয়-আতঙ্কে ভুগতে থাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এ ভয়ভীতি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মোটেই...
রাজনীতি
শরিকদের বেকায়দায় ফেলে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ!
প্রতিদিনের ডেস্ক
বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগের...
আইন আদালত
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ: দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত
প্রতিদিনের ডেস্ক
রাজধানীর ফার্মগেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই জন আহত হয়েছেন।...
এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন
সম্পাদকীয়
ভোটের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে এলেই ভয়-আতঙ্কে ভুগতে থাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এ ভয়ভীতি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মোটেই...
সম্পাদকীয়
বন্ধ হোক শিশুর প্রতি সহিংসতা
প্রতিনিয়ত দেশে শিশু নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে আসছে। গত ৯ বছরেরও বেশি সময় আগে শিশু...
সম্পাদকীয়
এবার চালের বাজারে অস্থিরতা
বাজারে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এমতাবস্থায় চালের বাজারেও অস্থিরতা দেখা...