বার্তাকক্ষ
পুলিশের পোশাকে শুটিং করছিলেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। এ সময় এক ছিন্নমূল কিশোর এগিয়ে এসে মা সম্বোধন করে শিরিন শিলাকে জড়িয়ে ধরে। মানসিক ভারসাম্যহীন ভেবে অভিনেত্রী তাকে জড়িয়ে ধরেন। একসময় শিরিন শিলাকে ওই কিশোর বলে, আমাকে নিয়ে যাও, আমি পড়াশোনা করবো’ বলেই আবার জড়িয়ে ধরে। শেষদিকে কিশোরটি শিরিন শিলার গালে চুম্বন দেয়। এমন একটি ভিডিও গত দু’দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। আর ভিডিওটি নিজেই ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শিলা, যার ভিউ ছাড়িয়েছে এক কোটির উপরে। পরবর্তীতে শিলা করে বসেন আরেক কাণ্ড। খোঁজখবর নিয়ে নাকি তিনি জানতে পারলেন, সে কিশোর মানসিক ভারসম্যহীন না। সে একজন রিকশাচালক।
এদিকে গতকাল সকালে শিরিন শিলা ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
বিজ্ঞাপন
যেখানে দেখা যায় ছেলেটি শিরিন শিলার পা ধরে মাফ চাইছে। শুটিং ইউনিটের কেউ কেউ তাকে পুলিশে দেয়ার কথাও বলছিলেন। তবে পুলিশে না দিয়ে কয়েকজন চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন ছেলেটিকে। শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গতকাল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকেই শিলার সমালোচনা করে বলছেন, যদি ছেলেটি অপরাধ করেই থাকে তাকে পুলিশে দেয়া উচিত ছিল। তাকে নিয়ে এসে মাফ চাইয়ে ভিডিও করার দরকার ছিল না। আবার অনেকে বলছেন, সবই হচ্ছে ভিউয়ের জন্য।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে শিরিন শিলা বলেন, সকালে ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার শুটিং করার জন্য ধামরাইয়ের একটি এলাকায় যাই। শুটিং স্পটে উপস্থিত একটি ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে আসে এবং কথা বলতে চায়। আমি তাকে কাছে টেনে কথা বলি। ওই ছেলে তখন আবেগী কণ্ঠে আমাকে বলে, তার নাকি মা-বাবা নেই; তাকে কেউ ভালোবাসে না। শিলা বলেন, ওই ছেলের এ কথায় তার প্রতি মায়া জন্মে আমার। এ কারণে তার কাঁধে হাত রেখে তাকে আদর করি। তখন সে বলে তার খিদে লেগেছে, তাই আমি তাকে খাওয়ার জন্য কিছু টাকাও দিই। এরপরই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু হঠাৎই সে গালে চুমু দিয়ে বসে। আমি হতভম্ব হয়ে যাই।
