বার্তাকক্ষ
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে আওয়ামী লীগই একটি দল, যে দল মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই জনগণের ওপর আস্থা রাখতেন৷ তিনি কখনো বিদেশি প্রভুদের ওপর আস্থা রাখতেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও জনগণের ওপর আস্থা রাখেন, কোনো বিদেশি প্রভুদের ওপর নয়।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়কারী আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভোটে বিএনপির আস্থা নেই। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন, তাদের আস্থা শুধু বিদেশিদের ওপর। বিএনপি নানানভাবে পদ্ধতিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি বিদেশির কাছে নালিশ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে ব্যস্ত। তারা তো আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা বন্দুকের নল ঠেকিয়ে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছিলো। এ কারণেই জনগণ জনবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আনবে না। এদেশের জনগণ উন্নয়নে বিশ্বাসী। জনগণ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে।
নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ষড়যন্ত্র করবেন না। আন্দোলনের হুমকি দেবেন না। যেকোনো আন্দোলন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা প্রয়োজন সরকার সেটি করবে। তবে বিএনপি যতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখুক, সেটা সম্ভব না। এটা বাংলাদেশে আর কখনো ফিরে আসবে না।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় গণমাধ্যমের যেমন যুগান্তকারী বিকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার যে চাহিদা বেড়েছে। সরকারের উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক মনোভাবের কারণেই সাম্প্রতিককালে দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রশ্নে সাংবাদিকদের আপোষ করা উচিত নয়। যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং দেশ বিরোধী নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকে পরিহার করা উচিত। তাই সাংবাদিকদের প্রতি সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা সাংবাদিক ইস্যুতে মাঝে মাঝেই কথা বলেন, অথচ তাদের সময় সাংবাদিক শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ বেশকিছু সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে করা হয়েছে নির্যাতন, তা কি ভুলে গেছেন তারা।
এসময় সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
