শোধনাগারের পানিতে শ্যাওলা, রাজশাহী ওয়াসা বলছে ‘মান ভালো’

0
13

বার্তাকক্ষ ,,শত কোটি টাকা খরচ করেও নগরীতে বিশুদ্ধ পানির সংকট মেটাতে পারছে না রাজশাহী ওয়াসা। সরবরাহ করা পানি ব্যবহারের অনুপযোগী বলে অভিযোগ নগরবাসীর। পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকে। শোধনাগারের চৌবাচ্চায় জন্মেছে শ্যাওলা।
রাজশাহী ওয়াসার তথ্যমতে, রাজশাহীতে সুপিয় পানির জন্য ২০১১ সালে শ্যামপুরে ১০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এ এইচ এম কামরুজ্জামান পানি শোধনাগার। স্থাপনের এক দশক অতিবাহিত হলেও কখনোই এটি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু হয়নি। এর দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি চালু থাকলে অপরটি থাকে বন্ধ। আবার পানির উৎস মুখে পানি না থাকায় বছরের ছয়মাস বন্ধ থাকে শোধনাগারটি। ফলে শোধনাগারটির চৌবাচ্চাগুলোতে পড়েছে পলির আস্তরণ। জমেছে শ্যাওলা। প্রতিটি চৌবাচ্চায় জমে আছে শ্যাওলার স্তুপ।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘আগে পানি বেশ ভালো ছিল। তবে এখন পানির মান ঠিক নেই। সময়মতো পানিও পাওয়া যায় না। পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকে।’
একই অভিযোগ শালবাগান এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পানি না ফুটিয়ে পান করা যায় না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে আনতে হয়।’জানতে চাইলে রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘পানি পরিশোধনাগারে শ্যাওলার স্তূপ থাকলেও পানির মান ভালো। সুপিয় পানি সরবরাহে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এ ধরনের পানির ব্যবহার মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পানি বিশেষজ্ঞ ড. অনুপম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ফিল্টারিং সিস্টেমে দুর্বলতা, পানি পরিশোধনে সঠিক মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার না করে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন তিনি।