ক্রীড়া প্রতিবেদক :
যশোর ক্রিকেটের চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন ৩০ রানের লজ্জার রেকর্ড গড়েছে সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনকে এই লজ্জার রেকর্ড উপহার দেয় যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল।
তবে ম্যাচ জিততে যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুলকে হারাতে হয় এক উইকেট। ৩ ওভার ৫ বলের বেশি সময় নেয়নি তৌহিদুর রহমানের শিষ্যরা। এই জয়ে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের যশোর জেলার পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় পঞ্চমবারের মত ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তামিম-রাহুল-সোহানরা। ২০১৬ প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশ নিয়ে রানার্সআপ হয়। পরের তিন বছর শিরোপা নিজস্ব সম্পত্তি করে ফেলে শিক্ষা বোর্ড। সর্বশেষ আসরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় দলটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার একই মাঠে ফাইনালে যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুলের প্রতিপক্ষ কালেক্টরেট স্কুল।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের অধিনায়ক প্রীতম সরকার। ব্যাট করতে নেমে অনূর্ধ্ব-১৬ খুলনা বিভাগীয় দলে খেলা আসা বাঁহাতি পেসার রাহুল হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে দলটি। রাহুলের সাথে জিসান আলম উইকেট শিকারে যোগ দিলে ১৩ ওভার ১ বলে ৩০ রানে গুটিয়ে যায় সম্মিলনীর দলীয় ইনিংস। এর মধ্যে ১৬ রানই এসেছে অতিরিক্ত থেকে। ব্যাট হাতে সম্মিলনী কেউ দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৭ রানের ইনিংসটি এসেছে আবিদ হোসাইনের ব্যাট থেকে। ব্যাটারদের ইনিংস গুলো পাশাপাশি সাজালে ‘০৭১০০০১১২১১’ এগার ডিজিটের টেলিফোন নম্বর হয়ে যাবে।
রাহুল পাঁচ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। এর পাশে জিসান আলম ১১ রানে ৩টি, আজিজুল হাকিম তামিম ও রোহান পারভেজ ১টি উইকেট দখল করেন।
পরে ব্যাট করতে বোর্ড স্কুলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম খেলেন ১৭ বলে চার চারে ২০ রানের ইনিংস। আর এতেই ৩.৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বোর্ড স্কুল। সম্মিলনী ইন্সটিটিউটের একমাত্র উইকেটটি নেন আল আবির ইসলাম।