Sunday, May 28, 2023
Homeসম্পাদকীয়সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি

সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি

Published on

সাম্প্রতিক সংবাদ

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরুক

অর্থনীতি ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার খবর পুরনো। চরম অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা...

বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতিতে মুগ্ধ ওয়েইডং

বার্তাকক্ষ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং বলেছেন, তিনি ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর...

এবার নতুন ‘ফাঁদ’ দুদকের

বার্তাকক্ষ ফাঁদ হচ্ছে হাতেনাতে দুর্নীতিবাজ ধরার একটি পদ্ধতি। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) বিভিন্ন...

বাড়ি আর কারাগারের মধ্যে পার্থক্য নেই: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমরা তো হাসিনার আমলে আছি।...

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দিন দিন এ সংকট আরো প্রকট হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে এ সংকট চরমে। অবকাঠামো থাকলেও নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে রোগী ও রোগীর স্বজনদের। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়েছে। গত বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় গভীর নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। সুপেয় পানির অন্য উৎসগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। লবণ পানি পরিশোধনে যে ফিল্টার অকেজো হয়ে পড়ায় দুষ্কর হয়ে পড়েছে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ। বিশেষত হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ করা জরুরি। হাসপাতালে খাবার পানির পাশাপাশি অস্ত্রোপচার, হাত ধোয়া, রোগীর ব্যবহৃত থালা বাসন, বিছানার চাদর ও পোশাক পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও নিরাপদ পানি জরুরি। এসব কাজে ব্যবহৃত পানিতে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকলে রোগীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। অথচ উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক হাসপাতালে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য ন্যূনতম যেটুকু পানি দরকার তাও নেই। এমন পরিস্থিতি শঙ্কাজনক। উপকূলীয় এলাকার হাসপাতালগুলোতে সুপেয় পানি নিশ্চিতের দায়িত্ব কার- এ নিয়েও রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর প্রবণতা। এই দোষারোপ কোনো সমাধান নয়। এ সংকট সমাধানে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। উপকূলবাসী দিনের পর দিন বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগবে- এটি হতে পারে না। গত বছরের শেষ দিকে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ২১ শতাংশ হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। পানি প্রাপ্যতার দিক থেকে সরকারি হাসপাতালের চিত্রটা বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে খারাপ। ৮৮ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতালে মৌলিক পানি সরবরাহ সেবার ব্যবস্থা আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে তা ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ ২৯ শতাংশ সরকারি হাসপাতাল পানির সংকটের মধ্যেই মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের তথ্যমতে, দেশের ৪১ জেলার ১৯২ উপজেলায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীতে পানির স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ২১২ ফুট নিচে নেমে গেছে। বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইডের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ২ কোটিরও বেশি মানুষ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ অনেক এলাকাতেই শুরু হয়েছে মরুকরণ প্রক্রিয়া। আমরা মনে করি, উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির পানি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করলে সুপেয় পানির চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে একযোগে কাজ করলে এ সমস্যা থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ মিলবে বলে আশা করি। হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য অবিলম্বে সরকারের আলাদা প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরি।

spot_img
spot_img

এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন

ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরুক

অর্থনীতি ও উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার খবর পুরনো। চরম অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা...

বজ্রপাত: সচেতনতার বিকল্প নেই

বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ দেশজুড়ে কালবৈশাখীর ছোবলে ১৬...

ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র : সক্ষমতা বাড়ানো দরকার

ভোলার ‘ইলিশা-১’ গ্যাসকূপকে ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে সরকার। এখানে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট...