ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপিসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এ নিয়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়ে নিত্যপণ্যের বাজারে। সারের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকরা বেকায়দায় পড়বেন, এটাই স্বাভাবিক। সাত মাস আগে ইউরিয়ার দাম বেড়েছিল কেজিতে ৬ টাকা। আগেরবার শুধু ইউরিয়ার দাম বাড়লেও এবার টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপির দামও বেড়েছে একই হারে। কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ইউরিয়ার নতুন দামে ২২ টাকার পরিবর্তে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকার পরিবর্তে ২১ টাকা, টিএসপি ২২ টাকার পরিবর্তে ২৭ টাকা এবং এমওপি ১৫ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে ডিলার পর্যায়েও প্রতিকেজি ইউরিয়ার বর্তমান দাম ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, ডিএপি ১৪ টাকার পরিবর্তে ১৯ টাকা, টিএসপি ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা এবং এমওপি ১৩ টাকার পরিবর্তে ১৮ টাকা ধার্য করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এসব সাফল্যের পেছনে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে কম দামে কৃষকদের সার সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কয়েক গুণ বাড়লেও কৃষকদের অসুবিধার কথা ভেবে সরকার এত দিন অভ্যন্তরীণ বাজারে, অর্থাৎ কৃষক পর্যায়ে সারের দাম বাড়ায়নি। যার ফলে একদিকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে কৃষক সরাসরি আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন। নতুন করে সারের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদনও ব্যাহত হবে। প্রসঙ্গত, তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশে সারে প্রদত্ত সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৪২০ কোটি টাকা, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা, আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রয়োজন হবে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শর্ত মেনে বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল, সারসহ বিভিন্ন পণ্যের ভর্তুকি কমানো ও দাম বাড়াতে হচ্ছে। এটা একটা বাস্তবতা। ব্যবস্থাপনা কৃষককে দেয়া উচিত। সারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাবে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ যে পরিমাণে বাড়বে, তার একটা হিসাব করা উচিত ছিল। সেই সঙ্গে বাড়তি এই খরচ উঠিয়ে আনার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা কৃষককে দেয়া উচিত। এমনিতেই কৃষিতে উৎপাদন খরচ বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক চাষের মাধ্যমে কিছু কিছু ফসলে কৃষক কিছুটা লাভবান হলেও সারের দাম বৃদ্ধির ফলে সেখানেও হ্রাস পাবে। সারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষিপণ্য শুধু নয়, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে। সরকার বিষয়টি নতুন করে কি ভাবতে পারে না?

সাম্প্রতিক সংবাদ
রাজনীতি
বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে: ওবায়দুল কাদের
বার্তাকক্ষ
প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটকে ‘জনবান্ধব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল...
আইটি
ল্যাপটপ-কম্পিউটারের দাম আরও বাড়ার শঙ্কা
বার্তাকক্ষ
এবারের বাজেট প্রস্তাবে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ আমদানির ওপর থেকে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের...
আইটি
মোবাইল ফোনের দাম আরও বাড়বে
বার্তাকক্ষ
দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই...
অর্থনীতি
ভ্রমণ কর বেড়েছে
বার্তাকক্ষ
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ ভ্রমণের ওপর কর বাড়িয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১ জুন)...
এধরণের সংবাদ আরো পড়ুন
সম্পাদকীয়
ই-সিগারেট : জনস্বার্থে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি
বিশ্বজুড়ে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান ৮ কারণের মধ্যে ৬টির সঙ্গেই তামাক জড়িত। কোনোভাবেই ক্ষতিকর এই...
সম্পাদকীয়
কমাতে হবে খেলাপি ঋণ
দেশের ব্যাংকিং খাত খেলাপি ঋণের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো খেলাপি...
সম্পাদকীয়
পোশাক খাতের শঙ্কা কাটাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
করোনা মহামারির পর তৈরি পোশাক খাত অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবে স্থগিত ও বাতিল...