হরিণাকুণ্ড প্রতিনিধি :
মঙ্গলবার দুপুরে হরিণাকুণ্ড থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলার আলোচিত হাফিজ হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন শৈলকুপা-হরিণাকু-ু সার্কেল এএসপি অমিত বর্মণ। এসময় তার সাথে ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় সাংবাদিকদের জানানো হয়,উপজেলার রিশখালী গ্রামের চাঞ্চল্যকর হাফিজুর রহমান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে হরিণাকু-ু থানা পুলিশ। গত ৯ অক্টোবর দুপুরে কেষ্টপুর চরেরমাঠ থেকে মাটিতে পুঁতেরাখা লাশ উদ্ধারের সময়ই ঝিনাইদহ সদর থানার এনায়েতপুর গ্রাম থেকে মহর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আলমগীরের দেয়া বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেষ্টপুর এলাকা থেকে জাহিদুর রহমান ওরফে কানা জাহিদকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করায় হত্যার মোটিভ উন্মোচিত হয়। তার দেয়া তথ্যমতে ওই রাতেই একই গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে রফিউদ্দীনের ছেলে রহিমের বাড়িথেকে হাফিজুর হত্যায় ব্যবহৃত ধারলো রক্তমাখা দা এবং একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে রাজুর বাড়ি থেকে হত্যার পর লাশ মাটিতে পোঁতার কাজে ব্যবহৃত কাদামাটি মাখা দুইটি কোদাল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুল রহিম ও সেকেন্দার আলী এবং কিলিং মিশন বাস্তবায়নে জাহিদ, রহিম, সেকেন্দার, আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন ছিল বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। পুলিশ আরও জানায় নিহত হাফিজুরের সাথে হত্যাকারীদের সাথে হাফিজের পূর্ব পরিচয় ছির। এজন্যে নিরিবিলি স্থানে ডেকে নেয়া সম্ভব হয়। পুলিশ ইতমধ্যে হত্যার দুই আসামিকে ঝিনাইদহ আদালতে প্রেরণ করেছে। এছাড়াও অন্য আসামি গ্রেফতার করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ৫অক্টোবর হাফিজুর রহমান নিখোঁজের পর তার ছোট ভাই ৭অক্টোবর হরিণাকু-ু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের আলমগীরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ৯অক্টোবর বিলের পানিতে হত্যাকারীদের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কেষ্টপুর চরের মাঠের নদীর ধার থেকে পলিথিনে পেঁচানো হাফিজুর রহমানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আলমগীরের দেয়া তথ্য মতে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। নিখোঁজের দিনই আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হাফিজুর রহমানকে হত্যা করা হয়। লাশ উদ্ধার ও আটকের পর হাফিজুর রহমানের ভাই জাফিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হরিণাকু-ু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ০৫, তারিখ ১০/১০/২০২২