১৬ টি ডায়ালাইসিস মেশিনের ৭টি নষ্ট বিপাকে কিডনি রোগে আক্রান্তরা

0
11

আব্দুল আলিম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বিপাকে পড়ছেন কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা। মেডিকেলে কিডনি রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডায়ালাইসিস বিভাগ থাকলেও এখানে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি। নেই যথাযথ ওষুধ সরবরাহ, এমনকি এখানে বাইরে থেকে রোগীরা সিরিঞ্জ কিনে দেওয়ার পর সেটা দিয়ে তাদের চিকিৎসা চলে। সাতক্ষীরা মেডিকেলের ডায়ালাইসিস বিভাগে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তির পর থেকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের ও স্বজনদের। তাদের অভিযোগ, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও এখানে কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই। তাই বাইরে থেকে রোগীর স্বজনরা ওষুধ কিনে দিলে সেটা দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীদের। তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের এই বেহাল দশা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে ১৬টি ডায়ালাইসিস মেশিন থাকলেও এর মধ্যে ৭টি বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রোগীকে চার ঘণ্টা ডায়ালাইসিস দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে তিন ঘণ্টা। যার ফলে নতুন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা। সজল হোসেন নামের এক রোগীর স্বজন জানান, আমরা জানি সরকারি মেডিকেলে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়। তবে এখানে এসে কী চিকিৎসা পাচ্ছি? বাইরে থেকে ওষুধপত্র কিনে এনে দিলে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। একটা সিরিঞ্জও নেই এখানে। বাইরে থেকে সিরিঞ্জ কিনে দিলে নার্সরা সেটা ব্যবহার করছে। আজিজুল রহমান নামের ওপর রোগীর স্বজন জানান, রোগীকে চার ঘণ্টা ডায়ালাইসিস করার কথা থাকলেও করছে তিন ঘণ্টা। এখানে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে পরীক্ষা করে আনলে সেটা দেখে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। মেডিকেলের এমন বেহাল দশা নানাভাবে ভোগান্তিতে ফেলছে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত নিম্ন আয়ের মানুষদের।
আকলিমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন জানান, অধিকাংশ সব ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো নষ্ট এজন্য রোগীদের অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া নতুন রোগীদের ক্ষেত্রে ভোগান্তি বেড়ে যায়। এখানে কিডনি আক্রান্ত রোগীদের ক্যান নেই, পার্শ্ববর্তী ফার্মেসিতে টাকা জমা দিলে সেখান থেকে ক্যান সরবরাহ করছে। তারপর সেটা দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে নার্সরা। এদিকে ডায়ালাইসিস ইউনিটের নানাবিধ সংকটের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্ট বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও সেবিকা। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. শীতল চৌধুরী জানান, বাজেট পেলে ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে বিকল হওয়া মেশিনগুলো মেরামত করা হবে তবে সেক্ষেত্রে সময় লাগবে।