রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময় হঠাৎ করেই ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় বেঞ্চের সবখানে । গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার সময় অন্য কক্ষে থাকায় বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে । প্রায় সাত বছর ধরে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত। এরপর ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে তিনরুম বিশিষ্ট একতলা ভবনটি নির্মিত হয়। এর মধ্যে একটি কক্ষে নবম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। যেটির পলেস্তারা ভেঙ্গে পড়েছে। এই শ্রেণিকক্ষের পাশেই প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের অফিস কক্ষ। তার পাশেই ছাত্রী মিলনায়তন। বর্তমানে তিনটি কক্ষের অবস্থা খুবই নাজুক। এছাড়া কক্ষগুলোর ফ্লোরও ভেঙ্গে দেবে গেছে। সবমিলে ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও নিরুপায় হয়ে ভবনটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে দু’টি টিনশেডের ঘর থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া ও মাহফুজ শেখ বলে, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে জরাজীর্ণ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ওই কক্ষে আর পাঠদান হচ্ছে না, ঢুকতেও ভয় পাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন একটি ভবন দিবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার কুন্ডু জানান, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে একটি মাত্র পাকা ভবন থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে খুব সমস্যা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও নতুন ভবন পাচ্ছি না। ভগ্নদশা ভবনটিতে পাঠদান দেয়াসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের অফিস করতে ভয় করছে। যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ হামিদ ভূইয়া বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে নতুন ভবন অনুমোদনের জন্য তাদেরকে সহযোগিতা করব।
