বার্তাকক্ষ রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পরপরই বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে সমবেত হতে শুরু করেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে এই মাঠে এসে জড়ো হচ্ছেন তারা।
এদিকে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি।গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাগোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে গোলাপবাগ মাঠের কথা। এখনও কাগজ দেয়নি।’
ডিএমপির কাছে সমাবেশস্থলের অনুমতি চেয়ে বিএনপির চিঠিডিএমপির কাছে সমাবেশস্থলের অনুমতি চেয়ে বিএনপির চিঠি
বৈঠক থেকে বের হয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ গোলাপবাগ মাঠে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমরা গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহার ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেই। পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিন। তারা সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
সায়েদাবাদ এলাকার গোলাপবাগ মাঠটির পশ্চিম ও পূর্ব পাশে দুটি করে চারটি গেট রয়েছে। তবে এর তিনটি এখন বন্ধ। স্থানীয়রা জানান, এই মাঠে আগে গরুর হাট বসতো। লোক সংখ্যা ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সঠিক সংখ্যা বলতে পারেননি।
গোলাপবাগ মাঠের পাশের বাসিন্দা মোবারক বলেন, কত লোক হবে বলতে পারি না। তবে হাট হিসাবে প্রায় ৩০ হাজার এর মতো লোকের জায়গা হতে পারে।
সমাবেশের কারণে কোনও অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে গেলে তো কোনও আশঙ্কা থাকার কথা না। তবে সমাবেশে আমাদের পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি নেই।
গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির কর্মীরাগোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির কর্মীরা
আরেক বাসিন্দা জাহিদ বলেন, আমরা চাই সমাবেশ যেন মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তা না হলে চলাচলে অনেক সমস্যা হবে।
সায়েদাবাদ গোলাপবাগ মাঠে পৌঁছাতে মতিঝিল ও কমলাপুর থেকে মানিকনগর সড়ক হয়ে সায়েদাবাদ ফ্লাইওভারের শুরুতে আসতে হবে। রাস্তার সংলগ্নে মাঠটি অবস্থিত।
