বার্তাকক্ষ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী ও আলবদরের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যুক্তরাই এখন বিএনপির প্রধান সহযোগী, তাদের অনেকেই এখন বিএনপির নেতা
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর রায়েরবাজারে বধ্যভূমি বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান বলেন, একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল। সেই দিনই বিএনপি ঢাকায় গণসমাবেশ ডাকে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দলটির পাকিস্তানপ্রীতি, পাকিস্তানের প্রতি অনুরক্তির বিষয়টি বারবার প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা এখন স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করে। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও লালন-পালনকারী এই দলটি। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এটি আসলে সমীচীন নয়।
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা অনেক আগেই জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে তারা ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা দেখছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানিরা তাদের আসন্ন পরাজয় বুঝতে পেরে স্বাধীন হতে যাওয়া বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করে দিতে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের হত্যা করে।
বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যুক্তরাই এখন বিএনপির প্রধান সহযোগী: তথ্যমন্ত্রী
Published on
