বার্তাকক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় আইফোন ও আইপ্যাডে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ স্টোর অনুমোদন করবে অ্যাপল। ইইউর কঠোর প্রতিযোগিতা নীতির পরিপ্রেক্ষিতে এ পথে এগোচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি। বিষয় সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। খবর রয়টার্স।
বিকল্প অ্যাপ স্টোর অনুমোদন অ্যাপলের দ্রুত সম্প্রসারমাণ পরিষেবা ব্যবসার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। তবে অ্যাপ স্টোরে অ্যাপল ভক্তরা যে নিরাপত্তা উপভোগ করে তা পাশ কাটিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী স্টোরে যাবে কিনা সে প্রশ্ন থেকে যায়।
ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ) হিসেবে পরিচিত ইইউ প্রণীত আইনের অন্য ধারাগুলো অ্যাপল মানবে কিনা তা সামনের দিনগুলোয় স্পষ্ট হয়ে উঠবে। তবে মাইক্রোসফট, মেটা ও অ্যামাজনসহ অন্য যে কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অ্যাপ স্টোর রয়েছে তারা এর ফল ঘরে তুলতে পারবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, অ্যাপল ভোক্তারা এখন থেকে কোম্পানির অ্যাপ স্টোর ব্যবহার ছাড়াই অন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। ডিএমএর অন্যান্য নির্দেশনা মানবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অ্যাপল। বিকল্প পেমেন্ট প্লাটফর্ম ব্যবহার নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ফের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা অনেকের। অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় ৩০ শতাংশ কমিশন পেয়ে থাকে অ্যাপল। মোবাইল অ্যাপ বিশ্লেষক সংস্থা সেন্সর টাওয়ারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করে ১ হাজার কোটি ডলার লেনদেন হয়েছে। নিজেদের এ লাভজনক ব্যবসা কাটছাঁট করবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
ইইউর ডিএমএ ২০২৪ সালের মাঝামাঝি কার্যকর হবে। এ আইনের আওতায়, প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির জন্য সুযোগ উন্মোচন করতে হবে প্রযুক্তি জায়ান্টদের। এ নীতিমালা লঙ্ঘন করলে তারা বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে।
এদিকে নিজস্ব ইকোসিস্টেমের সাফাইয়ে অ্যাপল জানায়, অ্যাপ স্টোর এড়িয়ে বিকল্প প্লাটফর্ম থেকে অ্যাপ ডাউনলোড ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বিপন্ন করে। তবে নীতিনির্ধারক ও সমালোচকরা বলছেন, অ্যাপলের এ উদ্বেগ অতিরঞ্জন। সমালোচকদের তালিকায় রয়েছে ফোর্টনাইট গেম নির্মাতা এপিক গেমসের মতো কোম্পানি।
এপিক গেমসের সিইও টিম সুইনি মঙ্গলবার এক টুইটে লিখেন, ইইউর ডিএমএর মতো আইন পাস করা উচিত মার্কিন কংগ্রেসের। এতে কয়েকটি কোম্পানির একচ্ছত্র জমিদারির রাশ টানা যাবে।
গত কয়েক বছর ধরেই অ্যালফাবেট তাদের ইকোসিস্টেমে গুগল প্লে স্টোর ছাড়াও বিকল্প অ্যাপ স্টোর ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। তবে প্লে স্টোর থেকেই ৯০ শতাংশ ডাউনলোড সম্পন্ন হয়ে থাকে।
