বার্তাকক্ষ চলতি দশকের দ্বিতীয়ার্ধে জাপানে উন্নততর চিপ তৈরি করবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন (আইবিএম)। এ লক্ষ্যে জাপান সরকার পরিচালিত চিপ উৎপাদনকারী র্যাপিডাসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে আইবিএম করপোরেশন। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যখন চিপ উৎপাদন, প্রযুক্তি ও বাণিজ্য নিয়ে টানাপড়েন চলছে তখনই নতুন এ চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে এল। বেইজিং যেন সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জাপানসহ অন্যান্য মিত্র দেশকেও একই পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।
চিপ উৎপাদনে জাপান অনেক আগেই তাদের শীর্ষস্থান হারিয়েছে। অভ্যন্তরীণ পর্যায়ের গাড়ি উৎপাদনকারী ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন মূল উপাদান সংকটে না ভোগে সেজন্য জাপান পুনরায় চিপ উৎপাদনে মনোনিবেশ করছে। টোকিওতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিডাসের প্রেসিডেন্ট আতশুইওসি কইকে বলেন, পাইলট পর্যায়ে চিপ উৎপাদন শুরু করতে এবং কার্যক্রম পরিচালনায় কয়েক ট্রিলিয়ন ইয়েনের প্রয়োজন। তবে এ অর্থ কোত্থেকে আসবে বা জাপান কোনো ফাউন্ড্রি তৈরি করবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কোনো তথ্য জানাননি।গত মাসে জাপানের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা র্যাপিডাসে ৭ হাজার কোটি ইয়েন বা ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। সনি গ্রুপ, এনইসি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে এটি পরিচালনা করছে। বিশ্ববাজার হিসেবে এ বিনিয়োগ খুবই সামান্য। কেননা উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে কয়েক বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ খাতে আরো বিনিয়োগ হবে।
আইবিএমের গবেষণা বিভাগের পরিচালক দারিও গিল জানান, গত বছর আইবিএম ২ ন্যানোমিটারের যে নোড চিপ উন্মোচন করেছিল সেটি উৎপাদনে প্রতিষ্ঠান দুটি কাজ করবে। চুক্তির অংশ হিসেবে র্যাপিডাসের বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়াররা আইবিএম জাপানের পাশাপাশি আইবিএম রিসার্চারসের সঙ্গে কাজ করবেন।
