বার্তাকক্ষ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে একদল মার্কিন আইনপ্রণেতা গত মঙ্গলবার একটি বিল উপস্থাপন করেছেন। বেইজিংয়ের গুপ্তচরবৃত্তিতে বাইটড্যান্স মালিকানাধীন অ্যাপটি ব্যবহূত হতে পারে—এমন শঙ্কায় এ বিল পেশ করেছেন তারা। খবর রয়টার্স।
মার্কো রুবিওর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চীন-রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত সোশ্যাল মিডিয়ার রাশ টেনে ধরতে সক্ষম হবে এ বিল। প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি উপস্থাপন করছেন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য মাইক গ্যালাগার ও ডেমোক্র্যাট সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি।টিকটকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। প্রশাসনকে টিকটকের জাতীয় নিরাপত্তা পর্যালোচনা করতে উৎসাহিত করার পরিবর্তে কংগ্রেসের কিছু সদস্য রাজনৈতিক প্রভাবে নিষেধাজ্ঞার চাপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ আইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রগতিতে কোনো কাজে আসবে না।’ টিকটকের ওই মুখপাত্র আরো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটফর্মটিকে আরো নিরাপদ করার চলমান পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা কংগ্রেসের সদস্যদের অবহিত করতে থাকব। গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটনে টিকটকের ওপর নজরদারি বৃদ্ধির সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার বিষয়টি জড়িত ছিল।’চলতি বছরের নভেম্বরের এক শুনানিতে এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করতে কিংবা তাদের ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে চীনা সরকার এর ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
গত সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যের মতো আলাবামা ও ইউটা রাজ্যের সরকারি কাজে ব্যবহূত সব ধরনের ডিভাইসে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে টিকটক অ্যাপ ডাউনলোড ও এতে সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধের চেষ্টা করেছিলেন। সে সময়ে বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেননি ট্রাম্প।
মার্কিন সরকারের বিদেশী বিনিয়োগ কমিটি (সিএফআইইউএস) ২০২০ সালে বাইটডান্সকে টিকটক থেকে আলাদা করার নির্দেশ দিয়েছিল। সিএফআইইউএস যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। সংস্থাটির আশঙ্কা ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীর ডাটা চীনা সরকারকে দেয়া হতে পারে।
