বার্তাকক্ষ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ নিহতের ঘটনায় তদন্তে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ দেখতে রাজধানীর মিন্টো রোডের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আসেন তার সহপাঠীরা। পরে বের হয়ে যাওয়ার সময় বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তদন্তে তাদের (ডিবি) পাওয়া ফাইন্ডিংস আমাদের দেখিয়েছে। আমাদের কাছে আলামতগুলো প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে। এগুলোর পেছনে তারা বেশ অ্যাফোর্ড দিয়েছে। তবে কিছু কিছু বিষয়ে গ্যাপ আছে। এ নিয়ে তারা আরও কাজ করবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বুয়েটের ৩১ জন শিক্ষার্থী ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
আলামত যা দেখেছেন সেগুলো যথেষ্ট বলে মনে করেন কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তারা বলেন, তাদের (ডিবির) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, শতভাগ তো করা সম্ভব না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাপ আছে। সেক্ষেত্রে তারা ভবিষ্যতে আরও কাজ করবেন। আমাদের যে পয়েন্টগুলো ছিল আমরা তা বলেছি। তারা এটা নিয়েও কাজ করবে।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কী নেবেন জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা নিজেরা আলোচনা করে জানাবো। তাদের কথা ও চেষ্টা প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। কিছু গ্যাপও স্পট আছে। সেগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। একটা প্রাথমিক গ্যাপ রয়েছে সেটা হচ্ছে— ব্রিজের যেখানে ফারদিনকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তার সঙ্গে কে ছিল। সে একদম একা ছিল কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলে নাই। লেগুনা চালকও নাকি বলেছে— ওই স্থানে দুই জন নেমেছে। কে নেমেছে এই বিষয়টা ক্লিয়ার না। এর বাইরে অন্যান্য যা আছে, সেটি কংক্রিট বলেছে। তারা আমাদের বিস্তারিত বলেছে।
আপনারা তথ্য-প্রমাণে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে ফারদিনের সহপাঠীরা বলেন, আমরা তাদের চেষ্টায় সন্তুষ্ট, অনেকটা আশ্বস্ত। ডিবির সহযোগিতায় আমরা আশ্বস্ত। আর যেহেতু তদন্ত শেষ হয়নি, মামলার রিপোর্ট জমা দেয়নি। তার মানে তাদেরও কিছু না কিছু বাদ রয়েছে বলে মনে করি। তদন্ত শেষ হলে তো তারা প্রতিবেদন জমা দিতো। এখন তারা প্রথম দিন থেকে যেসব কাজ করেছে সবই দেখিয়েছে। আমরা তাদের কাজ ও অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। তারা অনেক কাজ করেছে, আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
তথ্য-প্রমাণ দেখে আত্মহত্যা মনে হয়েছে কিনা প্রশ্নে তারা বলেন, এই বিষয়ে শতভাগ কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। তারা আমাদের কিছু তথ্য দেখিয়েছে, যা কাছাকাছি বলা যায়। এই কথায় হয়তো মনে হতে পারে যে, আত্মহত্যা করেছে। তবে সে রকম কোনও সলিড তথ্য দেখায়নি। কিন্তু এই বিষয় তাদের তদন্তের জায়গা থাকতে পারে। আত্মহত্যার মোটিভটা নিয়ে তারা বলেছেন কাজ করবে। এটা পরিষ্কার করতে হয়তো তাদের সময় লাগবে।
আগামী কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে গণমাধ্যমকে জানাবো।
ফারদিনের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে সহপাঠীরা ‘ডিবির ফাইন্ডিংস প্রাসঙ্গিক, আরও গ্যাপ আছে’
Published on
