বার্তাকক্ষ ,, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন। শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার মাধমে এ সোনার মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব। বৈষম্য দূর করতে প্রযুক্তি ও টেন মিনিট স্কুলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে।তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং ও কোডিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ১০ লাখ প্রোগ্রামার তৈরি করতে টেন মিনিট স্কুলের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের উদ্যোগে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অনলাইন সমাধানের একাডেমিক প্রোডাক্ট অনলাইন ব্যাচ ২০২৩- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বৈষম্যমুক্ত শিক্ষা বিস্তারে টেন মিনিট স্কুল গত ৮ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে বলেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেদের এগিয়ে নিতে গণিত, বিজ্ঞানের পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। স্মার্ট নাগরিক ছাড়া ভবিষ্যত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে চলনবিলে একটি শিক্ষা উৎসব হবে। যেখানে গণিত, ইংলিশ ও প্রোগ্রামিং ক্যাম্প করা হবে। এ একই মডেল সারাদেশে রেপ্লিকেট করতে চাই বলেও তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে। টেন মিনিট স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাদানে আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। এটা ‘ডমিনো ইফেক্ট’ এর মতো কাজ করবে। শিক্ষকদের দক্ষ করে তুললে শিক্ষার্থীরাও দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি এ বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য একটা কোর্স ডিজাইন করার পরামর্শ দেন
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এসবিকে টেক ভেঞ্চারস্ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, টেন মিনিট স্কুলের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ফাউন্ডার আয়মান সাদিক, চিফ অপারেটিং অফিসার ও কো-ফাউন্ডার মির্জা সালমান হোসাইন বেগ।
