বার্তাকক্ষ ,, এলাকা ও নামের মিল থাকায় বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে পুলিশ কর্তৃক খুঁজে বেড়ানোর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।তিন মাসের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে গ্রেফতার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে ওই প্রকৌশলীর আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফয়সাল হাসান আরিফ।
এর আগে একটি রিভলবার ও ৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ তিন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯৯৯ সালের ১৬ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব নামের নরসিংদীর এক ব্যক্তিকে। অপর দুই আসামি হলো মো. সালাউদ্দিন ও কামরুল রহমান ওরফে মনির।
এজাহারভুক্ত আসামি এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিবের নামের সঙ্গে চার্জশিটে মিঠু শব্দ যুক্ত করা হয়। তার বাবার নাম ডা. মো. কামরুজ্জামান খান ওরফে হিরু। বিচার শুরুর পর ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান আসামি রাকিব ওরফে মিঠু। জামিন নিয়ে পালিয়ে যায় মিঠু।
এরপর ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১ম আদালত এবং মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এই মামলায় রাকিবসহ তিন আসামিকেই অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সব আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এখন এই মামলায় প্রকৃত আসামি রাকিবের পরিবর্তে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজছে পুলিশ। এমন অভিযোগ এনে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খান চিঠি দিয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। চেয়েছিলেন তদন্ত। কিন্তু কোনও সাড়া না পাওয়ায় রিট করেন হাইকোর্টে।
প্রকৌশলী রাকিবুজ্জামানের দাবি, তার বাবার নাম মো. কামরুজ্জামান খান। বাবার নামের সঙ্গে আসামি ও আসামির বাবার নাম হুবহু এক নয়। আসামির গ্রামের ঠিকানায় সৈয়দ বাড়ি উল্লেখ আছে। আর তার বাড়ি হচ্ছে খানবাড়ি। দুজনের গ্রামের নাম এক হলেও বাড়ি ও বংশ ভিন্ন।
