২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

জাপানের বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোস্টগার্ডের বিমান

প্রতিদিনের ডেস্ক
জাপানের বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত একটি কমিটি বলেছে, এর নেপথ্যে ছিল কোস্টগার্ডের বিমানের গাফিলতি অথবা, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না বুঝতে পারা। হানেদা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিষেবা সংস্থা জাপান এয়ারলাইন্সের (জাল) এয়ারবাসটিকে (এ-৩৫০) অবতরণের জন্য অনুমোতি দেয়া হয়। অন্যদিকে, উড্ডয়ণের জন্য অপেক্ষমাণ কোস্টগার্ডের কিমানটিকে সি-৫ নম্বর টেক্সিওয়েতে অপেক্ষা করতে বলা হয়। খবর বিবিসির। জালের এয়ার বাসটি রানওয়েতে ল্যান্ড করার সময় একই রান ব্যবহার করে কোস্টগার্ডের বিমানটি হঠাৎ উড্ডয়ণের চেষ্টা করে। এতে জালের বিমানটির সঙ্গে সংঘর্ষে কোস্টগার্ডের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ৫ আরোহী নিহত হন। মঙ্গলবার রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিষেবা সংস্থা জাপান এয়ারলাইন্সের (জাল) ওই এয়ারবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জাপানের কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি ড্যাশ-৮ বিমানের। এ সময় জালের এয়ারবাসটিতে মোট ৩৭৯ জন যাত্রী ছিলেন।
তাতে যাত্রীবাহী বিমানের ৩৭৯ জন যাত্রীর সবার বেঁচে যাওয়াকে রীতিমতো ‘অবিশ্বাস্য’ বলছেন দুর্ঘটনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপাত্তা ও দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগের অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেইথওয়েইটের মতে, জাপানের বিমান পরিষেবাকর্মীদের অসাধারণ দক্ষতা ও কর্মতৎপরতার কারণেই এই ‘অলৌকিক ঘটনা’ ঘটা সম্ভব হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘আমি ভিডিও ফুটেজে যা দেখলাম, তার ভিত্তিতে বলতে পারি যে এত অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমানটির সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।’ ওই দুর্ঘটনাটি এখন পর্যন্ত বিমান পরিষেবার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়