প্রতিদিনের ডেস্ক
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় এই আদেশ দেন আদালত।শনিবার (৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরীর আদালত এই আদেশ দেন।এদিন বিকালে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল আলম আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে ধোলাইপাড়গামী রাস্তার সড়কে বিজিবি মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অবস্থান করে আসামিরা। এরপর তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, বাঁশ-লাঠি ও ককটেল নিয়ে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকে এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে যান চলাচলে বিঘ্ন তৈরি করে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করে।
নবীসহ অপর আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলের রাস্তার পাশে পার্কিং করা তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির দুইটি বাস গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তায় দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি নবী উল্লাহ নবী গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও ইন্ধনদাতা। গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সঠিক নাম ঠিকানা শনাক্ত করে গ্রেফতার, অর্থের যোগনদাতা ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য আসামিকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক নবী উল্লাহ নবীকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।