৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ফিলিস্তিনিরা অবশ্যই গাজায় থাকতে পারবে: ব্লিঙ্কেন

প্রতিদিনের ডেস্ক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয় এবং শর্ত সাপেক্ষে তাদের নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে দিতে হবে। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি মন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। খবর বিবিসির।বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সফরের অংশ হিসেবে কাতারে অবস্থান করছেন ব্লিঙ্কেন। গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার পরেই গাজায় ফিলিস্তিনিদের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করলেন ব্লিঙ্কেন।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে ধসে পড়া একটি ভবনের সামনে বেশ কিছু মরদেহ পড়ে আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে গত কয়েকদিনে ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর বেশ কয়েকবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকেই গাজার বিভিন্ন স্থানে অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এদিকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ে কমপক্ষে ১১৩ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।
রোববার এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই শর্তানুযায়ী দ্রুত নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে দিতে হবে। তাদেরকে গাজা ছাড়তে বাধ্য করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে যেতে এবং ইসরায়েলিদের জন্য পথ তৈরি করে দেওয়ার আহ্বান জানান ইসরায়েলের ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। তার এমন আহ্বানে নতুন করে উত্তেজনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির চলতি সপ্তাহে এই সঙ্কটের সমাধান হিসাবে গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহি করার আহ্বান জানান। যত দিন যাচ্ছে গাজার পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোও এখন নিরাপদ নয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়