২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

জনগণের জানমাল রক্ষায় কঠোর হবো: ওবায়দুল কাদের

প্রতিদিনের ডেস্ক
দেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় নতুন সরকার আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচনকে প্রতিহত করতে বিএনপি বীভৎস কর্মকাণ্ড করেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য অনেক কিছু ধৈর্য ধরে সহ্য করেছি, অপেক্ষা করেছি। ভবিষ্যতে অপতৎপরতা, অপশক্তি, সন্ত্রাস, সহিংসতার বিরুদ্ধে, জনগণের জান-মাল রক্ষার প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর হবো।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে সরকার সুসম্পর্ক তৈরি করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এ কথা বলেন কাদের।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের করা মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এখানে হুট করে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আপনিও (সাংবাদিক) দেখেছেন আমেরিকার, কমনওয়েলথ, ওআইসির প্রতিনিধিরা, পর্যবেক্ষকেরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমার মনে হয় যারা মন্তব্য দিচ্ছেন তারা তাদের দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষকেরা পর্যবেক্ষণ করে যে পজিটিভ মন্তব্য দিয়েছেন তার ভিত্তিতে বিষয়টা অনুধাবন করবেন।
নতুন মন্ত্রিপরিষদে কারা থাকবেন এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন্ত্রিপরিষদ গঠন করার ব্যাপারে এখতিয়ার হচ্ছে লিডার অফ দি হাউজের (সংসদনেতা)। যিনি পরবর্তী প্রধান হবেন এটা তার এখতিয়ার। উনি কীভাবে তার সরকার গঠন করবেন, মন্ত্রিপরিষদ সাজাবেন, সরকার পরিচালনার টিম তিনি কীভাবে সাজাবেন সেটা কিন্তু তার এখতিয়ার। এ সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করবো না।
নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলমত-নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়নযাত্রা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। নেত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন তার বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই দেশে যারা অশুভ রাজনীতি, অপরাজনীতির পথ অবলম্বন করেছেন তাদের পক্ষে জনগণ থাকেনি। ভবিষ্যতেও বিশ্বাস করি জনগণ অপশক্তির সঙ্গে থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না। এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙা রাখার অপকৌশল। যারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে দেশের জনগণ তাদের বর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কুচক্রীর বিরুদ্ধে আমাদের নজর আরও বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি করে। এটা তাদের জনবিচ্ছিন্নতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। কোনও ক্ষতি যেন করতে না পারে সে জন্য আমরা সর্বদা সতর্ক। সবকিছু মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর আবদুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম প্রমুখ।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়