৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

শীতের সকালে এক চামচ মধু রোগ প্রতিরোধে যেন মহৌষধ

প্রতিদিনের ডেস্ক
উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল হলো মধু। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি। এই উপাদান একাধিক রোগের ফাঁদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। বিশেষত, শীতের দিনে মধু সেবন করা অত্যন্ত উপকারী। তাতে যেমন শরীর গরম থাকবে, ঠিক তেমনই বাড়বে ইমিউনিটিও।তাই আর সময় নষ্ট না করে শীতে মধু খাওয়ার একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর নিজের ইচ্ছাতেই মধুকে ডায়েটে জায়গা করে দেবেন। তাতেই আপনাদের সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
​গলা ব্যথা নিপাত যাবে​
শীত পড়তেই আমাদের মধ্যে অনেকে গলা ব্যথার খপ্পরে পড়ে ভীষণই কষ্ট পান। এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে ঢোক গিলতে গেলেও সহ্য করতে হয় অসহ্য যন্ত্রণা। তবে ভালো খবর হলো, এই সমস্যায় একদম ধন্বন্তরির মতো কাজ করে মধু।কারণ এতে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে যা একাধিক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী। তাই গলা ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পেতে চাইলে গরম পানি বা চায়ে অল্প একটু মধু মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার পান করুন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
​কমবে কাশি​
আবহাওয়ার পারদ পতন হওয়ার পরই বেড়েছে কাশির প্রকোপ। ৮ থেকে ৮০, প্রায় সব বয়সিরাই অহরহ এই সমস্যার ফাঁদে পড়ছেন। তবে কাশি হলেই কফ সিরাপ খাওয়ার ভুলটা করা চলবে না। বরং এই সমস্যায় মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতেই দমকা কাশির প্রকোপ কমবে। এমনকি এই প্রাকৃতিক উপাদানের গুণে বুকে জমে থাকা কফও বেরিয়ে যাবে। তাই এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে দ্রুত মধুর শরণাপন্ন হন।
​হার্টের বন্ধু​
এই ঋতুতে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়তে পারে। ফলে বাড়তে পারে রক্তচাপ। তাতে অচিরেই হার্টের বারোটা বাজবে, তা তো বলাই বাহুল্য! রক্তচাপকে বশে রাখার কাজে একাই একশো মধু। এমনকি নিয়মিত মধু খেলে হৃদগতি স্বাভাবিক থাকবে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর কাজেও এর কিছুটা হলেও ভূমিকা রয়েছে। তাই হার্টের রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে এই প্রাকৃতিক মিষ্টির সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব করে নিন।
বাড়বে ইমিউনিটি​
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চাঙ্গা থাকলে একাধিক সংক্রামক রোগের ফাঁদ অনায়াসে এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মধু। কারণ এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহে প্রদাহের প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এই উপাদানের গুণে বাড়ে ইমিউনিটিও। তাই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ছুটকো অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার ইচ্ছা থাকলে নিয়মিত মধু খেতে ভুলবেন না যেন।
চলতে পারে ডায়াবেটিসেও​ সাধারণত সুগার রোগীদের মিষ্টি খাবারের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আপনারা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো মধু খেতেই পারেন। তাতেই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকি বাড়বে না সুগারও। তবে কোনোমতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাবেন না। এই ভুলটা করলে যে মহা ফাঁসা ফেঁসে যাবেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়