চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, মার্কিন নৌ-কর্মকর্তার কারাদণ্ড

0
17

প্রতিদিনের ডেস্ক
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের এক নৌ-কর্মকর্তাকে দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, তিনি চীনকে সামরিক বাহিনীর স্পর্শকাতর তথ্য দিয়েছেন। গত অক্টোবরে ওয়েনহেং ঝাও (২৬ ) নামের ওই কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে চীনা গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য দেওয়ার কারণে দোষী সাব্যস্ত হন। খবর বিবিসির।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি নৌ-ঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন ওয়েনহেং ঝাও। তিনি ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সামরিক মহড়া, অপারেশনাল অর্ডার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সম্পর্কে চীনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য দিয়েছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর বড় ধরনের সামরিক মহড়া সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন তিনি। জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থিত একটি রাডার সিস্টেমের জন্য বৈদ্যুতিক চিত্র এবং ব্লুপ্রিন্টও চীনা কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করেছেন ওই কর্মকর্তা।
এশিয়ায় তাদের কার্যক্রমের জন্য ওকিনাওয়াতে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে একটি প্রধান নিরাপত্তা অগ্রাধিকার হিসেবে অভিহিত করেছে এবং গত কয়েক বছরে চীনের সামরিক উপস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সেখানে জোট গঠনে কাজ করছে তারা। গত কয়েক বছরে ওই অঞ্চলে মিত্রদের সঙ্গে পরিচালিত নৌ মহড়ার প্রসার ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে, ঝাওয়ের নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছিল। তিনি পোর্ট হুয়েনেমের নেভাল বেস ভেনচুরা কাউন্টিতে কাজ করেছেন। নিজের নিরাপত্তা ছাড়পত্র কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও রেকর্ডের জন্য সংরক্ষিত সামরিক ও নৌ স্থাপনায় প্রবেশ করে তথ্য নিয়েছেন তিনি। সেগুলোই পরবর্তীতে চীনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করেছেন।
এদিকে সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করায় যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দেয় চীন। কোম্পানিগুলো হলো- বিএই ল্যান্ড অ্যান্ড আর্মমেন্টস, অ্যালায়েন্ট টেকসিস্টেম অপারেশনস, অ্যারোভাইরোনমেন্ট, ভিয়াসাত ও ডাটা লিংক সলুশনস।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, পাঁচটি মার্কিন সমরাস্ত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে বেইজিং। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার কারণেই এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আর নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া এসব কোম্পানির সম্পত্তি জব্দ করা হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও চীন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।