প্রতিদিনের ডেস্ক
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা গণতন্ত্রের পথে আসেনি। মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। তাই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় সভাপতির বক্তব্যের তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আমাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। আজকে সকালে নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছে। আমাদের সংসদীয় দলের সভায় আমাকে তাদের নেতা নির্বাচিত করেছে। এখন সরকার গঠনে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিতে হবে। আমি এ প্রোগ্রাম শেষ করে রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি যাবো। অনেকে অনেক স্বপ্ন দেখছে, কারো স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০১৪ সালের মতো এবারও ধ্বংসাত্মক কাজ শুরু করেছে। ভোট বর্জনের জন্য লিফলেটও বিতরণ করেছে, আমরা বাধা দিইনি। কিন্তু জনগণ শত বাধা-বিপত্তি ও অগ্নিসন্ত্রাস এবং ভয়ভীতি মোকাবিলা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, আজকে আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি। দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের ধারা আছে বলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়েছে। সব দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের ও বাইরের কিছু দালাল শ্রেণির লোক আছে, আমাদের উন্নয়ন তাদের ভালো লাগে না। মনে হয়, অনির্বাচিত কেউ আসলে তাদের ভালো লাগে। আমি জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা ভোট দিয়ে আমাদের সমর্থন যুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর জাতির জনককে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদমও এগোতে পারেনি। আমরা এসে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এ দেশ এগোতে পারতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ফিরে আসি ৮১ সালে এমন একটি দেশে। যেখানে আমার বাবা মায়ের হত্যাকরীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে মন্ত্রী বানায়, ক্ষমতায় বসায়। একদিকে খুনি আরেকদিকে যুদ্ধাপরাধী, তারা ক্ষমতায়। সে সময় আমি দেশে ফিরে আসি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছি। আজকে এতটুকু বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। মানুষের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তাদের সেবায় কাজ করেছি।
তিনি বলেন, ৭৬ সাল থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত মাথাপিছু আয় বাড়েনি। মানুষের পরনে কাপড় ছিল না। বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে পরানো হতো। স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাসেবাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার সব কেড়ে নিয়েছে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করে।
একই সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা শেষ। ফাইনাল হয়ে গেছে, ৭ জানুয়ারি। কী হলো? বিএনপি একটা ভুয়া দল। এদের আন্দোলন ভুয়া। এদের কর্মসূচি ভুয়া। ওদের ২৮ দফা ভুয়া। এক দফা ভুয়া। ওদের মিয়ান আরাফি বাইডেনের উপদেষ্টা ভুয়া। বিএনপিও ভুয়া। ওদের নেতা তারেক আসল ভুয়া। ডাকে লন্ডন থেকে কেউ শুনে না। তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ভুয়া।
তিনি বলেন, খেলা এখন নতুন খেলা। নির্বাচনের খেলা শেষ। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। খেলা হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।