১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ধ্বংসের মুখে ম্যারাডোনার দেয়ালচিত্র, নেপলসবাসীর বাধা

প্রতিদিনের ডেস্ক
দিয়েগো ম্যারাডোনা আর নাপোলি যেন এক সুতোয় গাঁথা। বার্সেলোনা ছেড়ে ইতালির ক্লাবটিতে পাড়ি জমানোর পর নাপোলি হয়ে উঠলো অখ্যাত থেকে বিখ্যাত। ম্যারাডোনা মানেই নেপলসবাসীর কাছে ঈশ্বর। সেই ম্যারাডোনার দেয়ালচিত্রই কিনা ধ্বংসের মুখে! তবে নেপলসবাসীর বাধার মুখে পড়েছে প্রশাসন। একসময় ইতালির শহর নাপোলির নাম জানতো হাতেগোনা মানুষ। ১৯৮০–এর দশকের শেষ দিকে পিছিয়ে থাকা ইতালিয়ান এই শহরকে ফুটবল–দুনিয়ার আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন ম্যারাডোনা। তার পায়ের ছোঁয়ায় নাপোলিও ইতালির অন্যতম সেরা ক্লাব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। ম্যারাডোনার হাত ধরে দুটি লিগ শিরোপা এবং একটি উয়েফা কাপের ট্রফি জিতেছিল ক্লাবটি। বিনিময়ে নেপলসবাসীও মন উজাড় করে ভালোবাসা দিয়েছে ম্যারাডোনাকে। এখনো নেপলস শহরে ম্যারাডোনাকে ঘিরে আগের মতোই উন্মাদনা দেখা যায়। শহরের অলিগলিতে, দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে তার বিশাল ছবি। ম্যারাডোনার বিশাল দেয়ালচিত্র আঁকা তেমনি একটি ভবন পুনর্নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রশাসন। ১০ কোটি ৬০ লাখ ইউরোর এই প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে ন্যাশনাল রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স প্ল্যান। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দুটি আবাসিক ভবন ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে একটি ভবনে থাকা ম্যারাডোনার দেয়ালচিত্র নিয়েই বিতর্কের শুরু। ২০১৭ সালে দেয়ালচিত্রটি তৈরি করেছিলেন স্ট্রিট আর্টিস্ট জোরিত। এই দেয়ালচিত্রে ম্যারাডোনাকে ‘মানব-ঈশ্বর’ হিসেবে তুলে ধরেছেন জোরিত। নাপোলির ইতালিয়ান লিগের শিরোপা জেতার ৩০ বছর পূর্তিতে বানানো হয়েছিল দেয়ালচিত্রটি। আবাসন প্রকল্পে ভবনটি ভেঙে ফেলা হলে গুঁড়িয়ে যাবে নান্দনিক এই দেয়ালচিত্রও। এতেই বেঁকে বসেছেন সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ। তারা চান না ম্যারাডোনার স্মৃতিবিজড়িত দেয়ালচিত্রটি ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য ধ্বংস করে ফেলা হোক। তাদের চাওয়া, দেয়ালচিত্রটি অক্ষত রেখেই যেন ভবন নির্মাণের কাজটি করা হয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়