১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করি না: নির্বাচনের পর বললেন বাইডেন

প্রতিদিনের ডেস্ক
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন চীনবিরোধী ও দ্বীপটির স্বাধীনতাকামী নেতা লাই চিং-তে। বেইজিংয়ের চাপ মোকাবিলায় তার প্রধান ভরসা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না।
লাইকে নির্বাচিত না করতে ভোটের আগেই তাইওয়ানিজ ভোটারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এই নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ ও শান্তি’র মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছিল বেইজিং। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, তাইওয়ানের ভোটাররা চীনের সেই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দেননি। দ্বীপটির বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট লাইকেই ভোট দিয়েছেন তারা।
শনিবারের (১৩ জানুয়ারি) এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসতে চলেছে লাইয়ের ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। স্বাধীনতাকামী এ নেতা চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি শান্তিরক্ষায় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তার আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।
এ অবস্থায় তাইওয়ানের নির্বাচন ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাইডেন বলেছেন, আমরা (তাইওয়ানের) স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।
ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, তাইওয়ানের নির্বাচনে ‘কোনো দেশের’ হস্তক্ষেপই গ্রহণযোগ্য হবে না। স্বাভাবিকভাবেই, এখানে ‘কোনো দেশ’ বলতে চীনের দিকেই ইঙ্গিত করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
প্রতিবেশী দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। তবে সেই দাবি অস্বীকার করে নিজেদের স্বাধীন হিসেবে পরিচয় দিতে চায় তাইওয়ান, তথা এর সরকার। ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই দ্বীপটিতে সফলভাবে গণতন্ত্র বিরাজ করছে। এর আগে কয়েক দশক স্বৈরতন্ত্র ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে তাইওয়ানিজ নাগরিকদের।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দ্বীপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরপরই লাই চিং-তেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তঃপ্রণালী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং মতবিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটি ‘এক চীন নীতি’র সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লাই এবং তাইওয়ানের সব দলের নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে চায় বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়