খুলনা প্রতিনিধি
পরিবেশ সুরক্ষার সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্জ্যজনিত দূষণ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। একটি শহরের সৌন্দর্য নির্ভর করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর। তাই সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে আমাদের আচরণের পরিবর্তন আনতে হবে। ‘বাংলাদেশে নগরভিত্তিক পানিচক্রের টেকসই রূপান্তর’ প্রকল্পের আওতায় ‘গৃহস্থালি পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আচরণগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ফরমেটিভ রিসার্চ এর প্রস্তুতিমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এসব কথা বলেন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরও বলেন, যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা নগরবাসীর উচিৎ নয়। নির্দিষ্ট স্থানে বাড়ির ময়লা ফেলতে হবে। বর্তমান সরকার শহরাঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজকে জরুরিভাবে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যারা পরিবেশ নষ্ট করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সঠিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারলে এই বর্জ্য সম্পদে পরিণত করা যাবে। খুলনাকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়র সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। কর্মশালায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, চীফ প্ল্যানিং অফিসার আবির উল জব্বার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওটেকনিক্যাল অ্যান্ড জিও-এনভায়রমেন্টল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের পরিচালক (হাসপাতাল) ডাঃ এম এ আলী ও কনিকা কনসাল্টিং সার্ভিসেস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এ কাশেম বক্তৃতা করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএনভি এর কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইরফান। কর্মশালায় কেসিসি’র বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা এবং এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।