প্রতিদিনের ডেস্ক
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কনকনে বাতাস আর তীব্র শীতে জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘরে ঘরে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমাসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (মস্তাননগর হাসপাতাল) সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী ২৮৫ জন শিশু এবং ৫২ জন বয়স্ক। অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন এবং নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ জন। ঠান্ডাজনিত রোগে শিশু ছাড়াও নানা বয়সী রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (মস্তাননগর হাসপাতালে) শিশু বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডের ভেতরে অধিকাংশ বেডে শিশু এবং রোগীর স্বজনরা রয়েছেন। পাশাপাশি পুরুষ ওয়ার্ডে বেড়েছে অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের রোগী। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আসা কাটাছরা ইউনিয়নের গৃহবধূ নুর জাহান বেগম বলেন, তিনদিন আগে আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। তার ডায়রিয়া হয়েছে। এখন মোটামুটি ভালো আছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। শরীর খুবই দুর্বল।
হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স ইনচার্জ সীমা রাণী নাথ বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগে কদিন ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আমদের পর্যাপ্ত পরিমাণে নার্স থাকায় রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছি।
হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন ঘোষ পলব বলেন, ঠান্ডায় শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া হলে শিশুদের ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পচা বাসি খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে ঠান্ডাজনিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে শিশুর সংখ্যা বেশি থাকে। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে বেশ কিছু রোগী ভর্তি হয়েছে। বেশিরভাগ ডায়রিয়া আক্রান্ত। অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই শীতে শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। এ বিষয়ে মা-বাবার সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।