প্রতিদিনের ডেস্ক
ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পিয়ংইয়ং দাবি করেছে যে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হতে পারে বিশ্বের দ্রুততম এবং সবচেয়ে নির্ভুল অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় সলিড-জ্বালানি চালিত ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সন হুই মস্কোয় সফরে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তিনি রাশিয়ায় যাচ্ছেন এবং এর মধ্যেই নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ার কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তার বিনিময়ে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে উত্তর কোরিয়া। এসব অস্ত্র ইউক্রেন যুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো।
রাষ্ট্রচালিত উত্তর কোরিয়ার প্রচারমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূলত নতুন এই অস্ত্রের সক্ষমতা যাচাই করতেই এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তারা বলছে, প্রতিবেশী কোনো দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করেনি এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতির জন্যও এটি উদ্বেগজনক নয়।
সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পাড়ি দিয়ে পূর্ব উপকূলের দিকে গেছে। সিউল, ওয়াশিংটন ডিসি এবং টোকিও পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ উচ্চতা কমপক্ষে ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল)।
এর আগে হুয়াসং-১৮ নামে একটি সলিড-জ্বালানিচালিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। গত ১৮ ডিসেম্বর ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ব সাগরে উৎক্ষেপণ করা হয়। এছাড়া গত ১১ এবং ১৪ নভেম্বর মাঝারি মাত্রার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।
গত সপ্তাহে সিউলকে প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সতর্ক করে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে ধ্বংস করার ব্যাপারে তিনি কোনো দ্বিধা করবেন না। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি বেশ উদ্বেগের।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে থাকলেও গত বছর প্রথম বারের মতো সলিড-জ্বালানি চালিত ক্ষেপণাস্ত্রসহ দফায় দফায় বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি।