২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

শীতের তীব্রতায় যশোরে গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

নিপা সরকার
চলছে শৈত্য প্রবাহ। শীত জেঁকে বসেছে। সারা দেশের ন্যায় যশোরেও প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটছে গরম কাপড় কেনার জন্য। সামর্থ্য না থাকলেও শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে উচ্চ বিত্তবান থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছে গরম কাপড়ের দোকানে। টাকা ওয়ালারা ছুটছে শপিংমল বা নামিদামি বড় বড় দোকানে। আর নিম্নআয়ের মানুষের আনাগোনা বেড়েছে যশোর শহরের কারেক্টরেট মার্কেট, হকার্স মার্কেট এবং ফুটপাতের দোকানগুলোতে। শীতের তীব্রতায় এসব মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। শৈত্য প্রবাহ চলমান থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে গুণে। হাড়কাঁপানো শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ছুটছে শহরের অলিতে-গলিতে কম দামের গরম কাপড়ের কেনার আশায়। মার্কেট এবং দোকানগুরোকত ক্রেতাদের ভিড় যেন লেগেই আছে। কেউবা কিনছে একদামে আবার কেউ দর কষাকষি করে। সব শ্রেণির লোকই শীতের গরম পোশাক কিনতে আসছে। স্বল্প আয়ের লোকজন হয়তো ফুটপাতের দোকান থেকে কিনছে আবার কেউ বড় দোকান থেকে একদামে বা দর কষাকষি করে কিনছে।গরম কাপড় বিক্রেতা বিজয় সাহার সাথে কথা বললে তিনি প্রতিদিনের কথাকে বলেন, ‘আমরা মূলত সকালে দোকানে আসি এবং রাত ১০টার ভিতর বন্ধ করে দিই। তবে শীতে মোটামুটি ভালই বিক্রয় হয়েছে। প্রথম দিকে তো মানুষের পা ফেলার জায়গা থাকতো না।’ শহরে শীতের পোশাক কিনতে আসা গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ‘কম দামেই শীতের পোশাক পাচ্ছি, এতেই আমরা খুশি।’ ফুটপাতের দোকানদাররা গরম পুরাতন কাপড় বিক্রি করছেন সর্বনিম্ন ১০০টাকায়। আবার কালেক্টরেট মসজিদ কমপ্লেক্স এর ভিতরে বিক্রেতারা ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করছেন গরম কাপড়। এসব দোকানগুলো সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, হাত-পায়ের মোজা, মাফলার, চাদর, কম্বলে ভরপুর। উচ্চবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি দামী কম্বলের দিকে ঝোঁক বেড়েছে। গরীবরা খুঁজছেন কমদমিী কম্বল। এবিষয়ে শ্রাবণ ফ্যাশন এর বিক্রেতা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি প্রতিদিনের কথাকে জানান, ‘শীত বেশি হওয়ার পরেও দোকানে এই মূহুর্তে তেমন কেনাবেচা নেই। শীতের প্রথম দিকের তুলনায় এখন একটু কমে গেছে বিক্রি।’ কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শীতের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই ক্রেতাদের তেমন চাহিদা নেই।’ গরম কাপড় কিনতে আসা আরেক গৃহবধূ সুমি রাণী বলেন, ‘আমরা শীতের পোশাক কিনতে আসিনি, প্রয়োজনে বাইরে আসছি তাই শীতের পোশাক গুলো দেখছি। যদি ভাল লাগে তাহলে কিনতে পারি।’ শীতের মৌসুমে প্রত্যেকটা দোকানে বাচ্চাদের পোশাকসহ বিক্রেতারা সব বয়সী পোশাক তুলেছেন। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি। সাধারণত শুক্রবার ক্রেতাদের ভিড় অনেক বেড়ে যায় বলে জানান বিক্রেতারা। গ্রাম থেকে অনেকেই কম দামে কিনতে চলে আসেন। আর বিক্রেতাদের বিক্রি বেড়ে যায় ছুটির দিনগুলোতে। আবার শুধু যে পোশাকের চাহিদা আছে তা নয় শরীর কে উষ্ণতায় রাখার জন্য বুট, কেডস জুতা এর জুড়ি অপরিসীম। গরম কাপড়ের সাথে তাল মিলিয়ে যেন চলছে জুতার দোকানদার গুলোতেও।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়