৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হতে পারে ৮-৯ মার্চ

প্রতিদিনের ডেস্ক
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেওয়ার অপেক্ষায় ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী। নির্বাচনের পর এ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে চলতি মাসে প্রশ্নপত্র ছাপাতে প্রেসের শিডিউল মিলছে না। আর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান।
সবমিলিয়ে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বাধ্য হয়ে এসএসসি পরীক্ষার শেষদিক ও রোজা শুরুর ফাঁকে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।পরিকল্পনা অনুযায়ী- আগামী ৮ মার্চ শুক্রবার স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২ এর এবং ৯ মার্চ শনিবার কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় এনটিআরসিএ।
পরীক্ষার কেন্দ্র হবে সারাদেশের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেগুলোর পক্ষ থেকে সাড়াও মিলেছে। এখন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর ডিসিদের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই এনটিআরসির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। এরপরের শুক্র ও শনিবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই রোজার আগেই ৮ ও ৯ মার্চ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, পরীক্ষার জন্য বেশি দেরি করলে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে যাবে। কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলো এ সময় পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে একমত। ডিসিদের বিষয়টি জানিয়ে শিগগির চিঠি দেওয়া হবে
এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক আবদুর রহমান বলেন, মার্চের শুরুর দিকেই পরীক্ষা নিতে চাই আমরা। তবে পরীক্ষার তারিখ এখনো সেভাবে চূড়ান্ত হয়নি।
জানা গেছে, ২৪ জেলায় শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। শুক্র ও শনিবার এ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রথমদিনে স্কুল পর্যায় ও সাধারণ স্কুল-২ এর পরীক্ষা এবং দ্বিতীয়দিনে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়।গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষকনিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের।
এ ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের স্ব স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এ নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়