২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

তীব্র শীতের মধ্যে খুলনায় বৃষ্টি, জমেছে পানি

খুলনা প্রতিনিধি
সারা দেশের মতো খুলনা অঞ্চলেও দুই সপ্তাহ ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তীব্র এই শীতের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়েছে টিপ টিপ বৃষ্টি। সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত চলা এ বৃষ্টিতে খুলনায় চার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিতেই শহর ও গ্রামের নিচু অঞ্চলে পানি জমেছে। এদিকে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে সবজি, বীজতলা, সরিষা, সূর্যমুখীসহ কিছু কৃষি পণ্য হুমকিতে ছিল। এ সব পণ্যের ওপর পড়ছিল নেতিবাচক প্রভাব। খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলা, সরিষা, সূর্যমুখীসহ বেশ কিছু সবজি হুমকিতে ছিল। কুয়াশার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল। কিন্তু এই হালকা বৃষ্টি এ ক্ষেত্রে উপকার করেছে।

একটু ভারি হলে অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা হতো। তা হয়নি। মৃদু বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের উপকার হলো। এদিকে, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও শ্রমজীবী মানুষ নেমে পড়েন কাজে। রিকশা কম বের হলেও ইজিবাইকে সয়লাব ছিল মহানগরীর সড়ক। কাঁচা বাজারে লোকজনের উপস্থিতি ছিল। গোবরচাকার মনিন্দ্রনাথ সেন বলেন, মজুরি দিয়ে সংসার চালাতে হয়। তাই শৈত্যপ্রবাহের চাপের পর বৃষ্টিকেও উপেক্ষা করতে হয়েছে। বৃষ্টি মানতে গেলে খাওয়া বন্ধ রাখতে হতো। সেটা করা কঠিন। নিজের জন্য না, কিন্তু সংসারের অন্য সদস্যদের জন্যই এমন পরিস্থিতিতেও সড়কে নামতে হয়েছে। খালিশপুরের ফার্ণিচার দোকানি মো. রাজু বলেন, কয়েকদিন ধরে খুব শীত। রোদ না ওঠায় কাঠ শুকানো যাচ্ছে না। এ জন্য কাজও প্রায় বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে কাজ একেবারে বন্ধ হয়। কাজ না করলে পেটতো চালাতে হবে। খুলনার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, সকালে দুই ঘণ্টায় চার মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে প্রতিবছরই খুলনায় কমবেশি বৃষ্টি হয়ে থাকে। মৌসুমি লঘুচাপের কারণে ভারত থেকে ভেসে আসা মেঘমালায় এ বৃষ্টি হয়। যা আজ বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ আরও এক পসলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকালও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, তবে যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে একটু ভারি বৃষ্টি হয়েছে। খুলনায় ততটা ভারি বৃষ্টি ছিল না। আজ খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর খুলনার বিভাগে সবচেয়ে কম চুয়াডাঙ্গায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়