প্রতিদিনের ডেস্ক
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফখর জামানের অতিমানবীয় ব্যাটে ভর করে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। নভেম্বরের ৪ তারিখের সেই জয়টাই পাকিস্তানের জন্য শেষ। এরপর তারা আর জিততেই পারেনি কোনো ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খানিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা দেখালেও তৃতীয় ম্যাচে এক ফিন অ্যালেনের কাছেই বিধ্বস্ত হয়েছে তারা। তৃতীয় ম্যাচে ফিন অ্যালেন একাই করেছেন ১৩৭ রান। রেকর্ড গড়া ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ১৬ ছয়। যা টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড। তবে অ্যালেনের এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি নাস্তানাবুদ হয়েছেন পাকিস্তানের হারিস রউফ। পাক এই বোলারকে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ফিন অ্যালেন। হারিস রউফকে এমন বেধরক পিটুনির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই কিউই ব্যাটার। হারিস নাকি তার সঙ্গে করা চুক্তি ভেঙে ফেলেছেন। যার কারণেই এমন শাস্তি তার। রেকর্ড গড়া ইনিংসের পর এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের মধ্যকার চুক্তির কথা জানান ফিন অ্যালেন, ‘সিরিজের আগে আমরা একটা চুক্তি করেছিলাম। রউফ আমাকে কোনো বাউন্সার দেবে না, আমিও তার বলে মারব না। সে আমাকে বাম্পারস (বাউন্সার বল) দিয়েছে, তাই সব চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে।’ ফিন অ্যালেন একেবারেই পাত্তা দেননি পাকিস্তানের হারিসকে। ১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা বলগুলোকে অনায়াসে সীমানাছাড়া করেছেন তিনি। অ্যালেনের বিপক্ষে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে রউফ ছক্কা দেন ৩টি। ওই ওভারে মোট ২৮ রান দেন রউফ। এরপর ইনিংসের ১২তম ওভারে রউফের বলে আরও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। ওই ওভারে রান দেন ২৩। ফিন অ্যালেনের এই ইনিংসটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চও ছিল এক কিউই ব্যাটসম্যানের। গত এপ্রিলে রাওয়ালপিন্ডিতে ১০৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্ক চ্যাপম্যান।