উৎপল মণ্ডল,শ্যামনগর
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি,বায়োমেট্রিক না করার পাশাপাশি বিনা ভাড়ায় কোয়ার্টার ব্যবহারসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত টিম। সোমবার তদন্ত টিমের সদস্যরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে অভিযুক্তের পাশাপাশি আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কাশিমাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফসহ অর্ধ্বশতাধিক ব্যক্তি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বায়োমেট্রিক ছাড়া দেড় বছর চাকুরী এবং নয় মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিতি সত্বেও বিধি বহির্ভভুতভাবে চাকুরীতে যোগদানসহ একাধিক অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর হককে প্রধান করে তিন সদস্যের ঐ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য যথাক্রমে সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তামিম হোসেন ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা ডাঃ পুলক।এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র নিশ্চিত করে জানায় তদন্ত টিমের সদস্য তদন্তের শুরুতে আনীত অভিযোগের অনেকগুলো বিষয়ে সত্যতা পেয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে পরবর্তীতে চাকুরীতে যোগ দেয়াসহ বায়োমেট্রকি ছাড়া চাকুরী এবং নিজে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বাইরের ভাড়াটে লোক দিয়ে দায়িত্ব পালনের মত গুরুতর অভিযোগগুলোর প্রাথমিকভাবে প্রমান মিলেছে।তদন্ত প্রসংগে কমিটির প্রধান ডাঃ মিজানুর হক বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,সেটা প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হবে।