১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

পর্যটক খরা কাটিয়ে চেনা রূপে সৈকত

প্রতিদিনের ডেস্ক
দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে শঙ্কায় পর্যটকহীন ঝিমিয়ে পড়া কক্সবাজার চেনা রূপে ফিরেছে। শূন্যতা কাটিয়ে বেড়েছে পর্যটক সমাগম। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে পর্যটক-দর্শনার্থীতে ভরে ওঠে সৈকতের বেলাভূমি।এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত থেকে আবাসন, খাবারসহ সকল সেবাধর্মী পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা মোটামুটি জমে উঠেছে। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, করোনা দুর্যোগের পর থেকে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। এরপরও চলতি পর্যটন মৌসুম শুরুর পর সপ্তাহিক ও নানা দিবসের ছুটিতে পর্যটক সমাগম ছিল। কিন্তু দ্বাদশ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ-হরতালে ফের ভাটা পড়ে। গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচল শুরুর পর অল্প অল্প করে আসা শুরু হয় পর্যটক। তবে নির্বাচনের আগের দিন থেকে একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় পর্যটক আসা। এরপর থেকে ভরা মৌসুমেও মন্দা চলছিল। মৌসুমে ব্যবসার লগ্নি উঠবে কিনা এ নিয়েও শংকায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে কিছুটা পর্যটক আসা শুরু করেছে কক্সবাজারে। শুক্রবার চেনা রূপে ফেরে বেলাভূমি। যাচ্ছেন সেন্টমার্টিনও।
ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন দিয়ে চলতি পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও কক্সবাজারে আশানুরূপ পর্যটক উপস্থিতি নেই। গেস্ট হাউজ, কটেজ ও ননস্টার হোটেলগুলো ফাঁকাই যাচ্ছে গত পক্ষকাল। উল্লেখযোগ্য পর্যটক না থাকায় চরম হতাশায় সময় কেটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। শুক্রবার থেকে পর্যটন জোনে পর্যটক ও দর্শনার্থী সমাগম বেড়েছে। সপ্তাহিক ছুটিতে ভ্রমণ প্রেমীরা কক্সবাজার এসেছেন। আগাম বুকিং হয়েছে হোটেল-মোটেল ও কটেজ। সেন্টমার্টিনেও যাচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
তারকা হোটেল হোয়াইট অর্কিডের জিএম রিয়াদ ইফতেখার বলেন, অতীতে পুরো ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে প্রতিদিনই কমবেশী পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করতো। গত কয়েক বছর এর ব্যতিক্রম ঘটছে। এরমাঝে সপ্তাহিক ছুটিতে শুক্র ও শনিবার বিপুল পর্যটক উপস্থিতি কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো পর্যটন ব্যবসাতেও বৈচিত্র্য এসেছে। নানা কারণে এখন আর আগের মতো শীত মৌসুমের পুরো সময় পর্যটক মিলছে না। এ সময় অতীতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের উপস্থিতি থাকতো। এখন চারদিকে শুধু হতাশা। এরপরও শুক্রবারের লোকসমাগমে আমরা আনন্দিত।
কক্সবাজার জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম ডালিম বলেন, সমিতির তালিকাভুক্ত শতাধিকসহ কক্সবাজার পর্যটন জোনে ৪ শতাধিক রেস্তোরাঁ বিদ্যমান। পর্যটক শূন্যতায় সবাই দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছি। শুক্রবার সকলে কমবেশি ব্যবসা করেছি। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো প্রবাদের মতোই আমরা খুশি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অধিনায়ক মো. আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটক নিরাপত্তায় সৈকতে বীচ বাইক নিয়ে টহল, প্রশিক্ষিত লাইফগার্ড কর্মী, কন্ট্রোল রুম, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ পুরো সৈকত পুলিশের নজরদারির আওতায়। বাড়তি পর্যটক সমাগমেও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছি আমরা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটন নগরীতে আগত সকলকে নিরাপদ রাখা শৃঙ্খলাবাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব। আমরা সেভাবেই পর্যটক নিরাপত্তায় সবসময় সতর্কাবস্থায় রয়েছি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পর্যটকরা কক্সবাজারের লক্ষ্মী। আগত ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে কলাতলী-সুগন্ধা-লাবণী পয়েন্টে তথ্যসেবা কেন্দ্র সচল রয়েছে। পর্যটক হয়রানি বন্ধে মাঠে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পর্যটক হয়রানি রোধে আমরা সবসময় সজাগ

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়