শান্ত দেবনাথ, বাঘারপাড়া
বাঘারপাড়ায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের স্থান নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হয়েছে। থানা বাজার সংলগ্ন গলির ভিতরে (৩০০ বর্গফুট) জমির উপর এই কসাইখানা নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এটির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রস্তাবিত জায়গা গতকাল শনিবার বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান ঘুরে দেখেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার আশা ব্যক্ত করেন। শতভাগ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কসাইখানাটি নির্মাণ করা হবে জানান, পৌর মেয়র। এ কসাইখানায় থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। থাকবে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্মার্ট স্টকিং স্পেস সুবিধা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও ব্লাড (রক্ত ব্যবস্থাপনা) ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শৃঙ্খলা। ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে অর্থাৎ হালালভাবে পশু জবাই, জবাইকৃত পশুর মাংস ফ্রিজিং করার সুব্যবস্থা, পশুর রক্তকে পোল্ট্রি ফিডে রূপান্তর করা এবং অন্যান্য বর্জ্য শতভাগ রিসাইক্লিং ও ইটিপি করা হবে। আশপাশের পরিবেশের উপর কোন ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়ার শংকা থাকবে না। এর আগে সেতুর উত্তর পাশে দুই দিকে মাংসের দোকান ছিল। গত ১৭ জানুয়ারি সেতুর দুই পাশে সরকারি জায়গা উন্মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। ভেংগে দেয় ব্যক্তি দখলে থাকা এ সব মাংসের দোকান। সেদিন থেকে বেকার হয়ে পড়ে মাংস ব্যবসায়িরা। তাদের কথা চিন্তা করে পৌরসভা এ কসাইখানা নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে। পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান জানিয়েছে, ‘সপ্তাহে দুই দিন বাঘারপাড়ার হাট। হাটের দিন দুই থেকে চারটি এবং অবশিষ্ট দিনে এক থেকে দুটি করে গরুই জবাই হয়। ব্রিজের ওপর বর্ধিত যে জায়গা আছে, সেখানে গরু জবাই করা হত। রক্ত নদীর পানিতে ফেলা হত। উচ্ছিষ্ট নাড়িভুঁড়ি, হাড্ডি এসব সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে নদীতে ফেলা হত। উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ছিল স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী। নদী দূষণ রোধে এ কসাইখানা নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।