জি এম ফারুক আলম, মণিরামপুর
মণিরামপুরের কৃষকেরা শংঙ্কা নিয়েই বোরো চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। হাড় কাপানো কনকনে শীত উপেক্ষা করে কিভাবে বোরো আবাদ সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন এ চিন্তা মাথায় নিয়েই কৃষকের চাষাবাদ শুরু করেছেন। এ বছর উপজেলায় এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৩ হেক্টর জমি এখনো রয়েছে পানির নিচে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চাষিরা বোরো আবাদ করতে ১ হাজার ৬৯৬ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। ইতিমধ্যে, প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার রোহিতা, খেদাপাড়া, কাশিমনগর, চালুয়াহাটি, ভোজগাতী, মশ্বিমনগর, মণিরামপুর সদর ইউনিয়নে বোরো আবাদের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে। হরিদাসকাটি ও কুলটিয়া ইউনিয়নে আওতাধীন বিল বোকড়, নেহালপুর ইউনিয়নের বিল আড়পাতা এবং দূর্বাডাঙ্গার বিল কেদারিয়া, খানপুর ইউনিয়নের বিল শালিখার আওতায় ১ হাজার ২২৩ হেক্টর জমির জলাবদ্ধতার কারণে বোরো চাষের জন্য এখনো উপযোগী করতে পারেননি কৃষকরা। ভবদহ সমস্যার কারণে এ বিলগুলোতে জলাবদ্ধ থাকায় গত বছরও অনেকাংশে চাষিরা বোরো আবাদ করতে পারেননি। এবছরও ১ হাজার ২২৩ হেক্টর জমি পানি নিস্কাশন সম্ভব না হলে জলাবদ্ধ থেকে যাবে। জলাবদ্ধ এসব বিলগুলো বোরো চাষের উপযোগী করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে চাষিরা। এ লক্ষে ভবদহ পানি নিস্কাশনের জন্য পাওয়ার পাম্প বসিয়ে সেচ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ অবস্থা থেকে কিভাবে উত্তরণ সম্ভব সে লক্ষে মণিরামপুরের সংসদ সদস্য হাফেজ আলহাজ্ব মোঃ ইয়াকুব আলী শনিবার সরেজমিন ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত পানি নিস্কাশন কিভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসি, চাষি শ্রেণীর প্রতিনিধিসহ জলাবদ্ধ এলাকাগুলোর জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময়ও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, ভবদহ থেকে পানি সরানোর সম্ভব হলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানিয়েছেন, বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে কৃষকদের নিয়ে সব রকমের প্রস্তুতি চলছে।