২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

পুলেরহাট-কুমিরা সড়কে বেপরোয়া গতিতে যানবহন চলাচল : দুর্ঘটনার আশংকা

উত্তম চক্রবর্তী,রাজগঞ্জ
যশোরের পুলেরহাট- কুমিরা সড়কে বেপরোয়া গতিতে যানবহন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এছাড়া এ সড়কে লোকজন সর্বক্ষন আতংক নিয়েই চলাচল করছে। পুলেরহাট-কুমিরা সড়কে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল ও নচিমন, করিমন, আলমসাধু বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এ সড়কের দুই ধারে রয়েছে অসংখ্যা বসতি বাড়ি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক হাট-বাজার ও মোড়। এই সড়কটি গ্রাম-গঞ্জের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় সব সময় পায়ে হেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ও গ্রামের বৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণির মানুষ চলাচল করে। ভ্যান, বাইসাইকেল ও ইজিবাইকে করে বহু মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে বের হন। কিন্তু বর্তমানে এ সড়কে চলাচলরত ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল ও নচিমন, করিমন, আলমসাধুর বেপরোয়া গতি থাকায় মানুষ উন্মুক্ত ভাবে চলাচল করতে পারছে না। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

মানুষ এ সড়কে উঠলেই যতোটুকু সময় থাকে, সেই সময় টুকু আতংক নিয়েই চলাচল করে। এ সড়কের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীনতম বাজার হচ্ছে, রাজগঞ্জ বাজার। এ বাজারে সব সময় প্রচুর মানুষের সমাগম থাকে। এ বাজারের উপর দিয়েও উল্লেখিত যানবহনগুলো ঝড়ের গতিবেগে পার হয়। রাজগঞ্জ বাজারের অর্থাৎ উল্লেখিত সড়কের পাশের ব্যবসায়ী রাশেদ হাসান জানান- অত্যান্ত গতিবেগে গাড়ী চলাচলের কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা সর্বক্ষন আতংকে থাকি। এই যেনো কখন ঘটে যায় দুর্ঘটনা। খেদাপাড়া বাজারে ভ্যান চালক শরিফুল বলেন- আমরা ছোট-খাটো ভাড়া নিয়ে এই সড়কে যখন উঠি, তখন আমাদের প্রান হাতের মুঠোর মধ্যে থাকে। ট্রাক, পিকআপ চালকরা আমাদের মোটেও সাইট দিতে চাই না। অনেক সময় রং সাইটে এসে আমাদের ধাক্কা দেয়। একই এলাকার ইজিবাইক চালকরা বলেন- ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চালকরা অত্যান্ত গতিতে তাদের গাড়ী চালিয়ে থাকে। আমাদের কোনো প্রকার সাইট দিতে চাই না। এ সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচলরত ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল ও নচিমন, করিমন, আলমসাধুর ধাক্কায় বহু তরতাজা মানুষের প্রান অকালেই ঝরে গেছে। এছাড়া বহু মানুষ পঙ্গু হয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সম্প্রতি দেখাগেছে- রাজগঞ্জের কিছু স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে বেপরোয়া গতিতে থাকা ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চালকদের ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে তারা। এলাকার সচেতন মহল বলছেন- প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে কোন এলাকা থেকে, কোন এলাকা, কত গতিবেগে যানবহন চালানো যাবে, সে সম্পর্কে চালকদের ধারণা দেওয়া এবং গাড়ীর গতিবেগ বেশি থাকলে সেসব চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আর প্রশাসন যদি বিষয়টির দিকে নজর না দেয়, তাহলে গাড়ী চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালিয়েই যাবে। প্রতিনিয়ত ঘটবে দুর্ঘটনা।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়